Mamata On Paresh Adhikari: 'স্থানীয় কারও উপরে রাগ হলে তৃণমূলকে ভুল বুঝবেন না', উত্তরবঙ্গে মমতার নিশানায় পরেশ?
উত্তরবঙ্গের কিছু নেতা বিজেপির মদতে বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদন: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি বাংলাভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল ওই সভায় অনুপস্থিত কোচবিহারের বিধায়ক ও রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। আর তার থেকেও বড় বিষয় হল স্থানীয় নেতারদের উপরে রাগে তৃণমূলের পাশ থেকে সরে না যাওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অর্থাত্ বলা যেতেই পারে ওই স্থানীয় নেতাদের মধ্যে পড়ে গেলেন পরেশ অধিকারীও।
উল্লেখ্য, পরেশ অধিকারির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রভাব খাটিয়ে তিনি মেয়ের চাকরি করে দিয়েছেন। এনিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। পরেশ অধিকারীকে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। আদালতের নির্দেশে চাকরিও গিয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। এরকম এক চাপের পরিস্থিতিতে মমতার ওই মন্তব্য যথেষ্ঠই গুরুত্বপূর্ণ।
কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আলিপুরদুয়ারের ওই সভায় মমতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের লোকালি কারও উপরে রাগ করে দলটাকে ভুল বুঝবেন না। তৃণমূলকে ভুল বুঝলে স্বাস্থ্যসাথী হবে না, কৃষাণ বন্ধু হবে না, কন্য়াশ্রীও হবে না। বিনা পয়সায় চিকিত্সাও হবে না, উদ্বাস্তু পাট্টাও হবে না। কোনও গোলমাল নজরে এলে তা মেটানোর চেষ্টা করি। আমাদের যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমাকে বলবেন। বিজেপি, সিপিএমের কথায় ভুলবেন না। ওরা কখনও কিছু করবে না। মনে রাখবেন বিজেপি মিথ্য়ে বলে, ফেক ভিডিয়ো ছড়ায়।
উত্তরবঙ্গের কিছু নেতা বিজেপির মদতে বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটের আগে বিজেপি বলেছিল গোর্খাল্য়ান্ড করবে। ভোটের পর হাওয়া। আমি রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরি। বাংলা ভাগ হতে দেব না। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,পঞ্চানন বর্মাকে ভাগ করতে পারবেন? কেউ ব্যানার্জি তো চ্য়াটার্জি, কেউ রায় তো কেউ সরকার। মনে রাখবেন ধর্ম যার যার। উত্সব সবার। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের মানুষকে বলব আমরা সবাই এক। কিছু নেতার কাজ নেই, কর্ম নেই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে উত্তরবঙ্গকে না ভাগ করলে আমাকে মেরে দেবে। আমি বলি তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও। এতবড় ক্ষমতা তোমাদের? আমি অনেক বন্দুক দেখে এসেছি। এসব বন্দুক আমাকে দেখিও না। এসব বন্দুক ভোঁতা করতে আমি জানি। বিজেপি প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে। এটা মনে রাখবেন। যখনই ভোট আসে তখনই বিজেপি ভাগ করার কথা বলে। কিছু টাকা দেয়। ভোট এলেই উজালা, আর ভোটের পর আঁধার। কথায় এক, কাজে এক। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আপনাদের জন্য অনেক কিছুই করে দেব। তৃণূল কংগ্রেস না থাকলে, কন্য়াশ্রী, রূপশ্রী হবে না, স্বাস্থীসাথী কিছুই হবে না।
আরও পড়ুন-ফের বাড়ছে করোনা, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হল দেশের এই শহরে