'হিংসাকেই নীতি বানিয়ে নিয়েছে... মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার অধিকার হারিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি'
"উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতেও তৃণমূল নেতা শাহাজাহানের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। খড়দায় বিজেপি কর্মীকে গুলি করা হয়েছে। কালনায় বিজেপি কর্মী খুন হন।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : "পশ্চিমবঙ্গ সরকার হিংসাকেই তাদের নীতি বানিয়ে নিয়েছে... মমতা ব্যানার্জি, আপনার আর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার কোনও অধিকার নেই।" দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি কর্মী এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এভাবেই চাঁছাছোলা ভাষায় সমালোচনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কড়া আক্রমণ করলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।
দিলীপ ঘোষ বলেন, "৪ তারিখ সারা রাজ্যে বিজেপি গণতন্ত্র বাঁচানোর লক্ষ্যে ধরনা কর্মসূচি পালন করে। আর তারপর থেকেই ডায়মন্ডহারবার এলাকায় তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের নেতৃত্বে জায়গায় জায়গায় হামলা করা হচ্ছে। বোমাবাজি চলছে। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতেও তৃণমূল নেতা শাহাজাহানের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। খড়দায় বিজেপি কর্মীকে গুলি করা হয়েছে। কালনায় বিজেপি কর্মী খুন হন। প্রতিদিন এরাজ্যের কোনও না কোনও জায়গায় বিজেপি কর্মীকে হয় শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হচ্ছে, নয়তো খুন করা হচ্ছে।" তাঁর অভিযোগ, "পুলিসের সামনেই সব ঘটনা ঘটছে। অথচ পুলিস নির্বিকার।" রাজ্য সরকার হিংসাকেই তাদের নীতি বানিয়ে নিয়েছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন লকেট। এঘটনায় টুইট করে তিনি বলেন, "এটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য খুবই লজ্জার। এখন মহিলাদেরও নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চেয়ারে বসে থাকার নৈতিক অধিকার আপনি হারিয়েছেন।"
প্রসঙ্গত, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী রাধারানি নস্কর। তাঁর মাথার বাঁদিকে গুলি লেগেছে। তাঁকে গানপয়েন্টে রেখে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও, পরে পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি এখনও সঙ্কটজনক। দুপুরে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসেন বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা বিজেপি করেন বলে তাঁদের বাড়ি আক্রমণ করে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সকাল ১১টা নাগাদ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীদের দল। রাধারানি নস্করের স্বামী অরুণ নস্করের খোঁজ করে তারা। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে রাধারানি নস্করের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীদল। রাধারানি নস্করকে মারধর করে। আত্মরক্ষার্থে রাধারানি নস্করও পাল্টা ঝাঁটা ছুড়ে মারেন। অভিযোগ, এরপরই দুষ্কৃতীরা রাধারানি নস্করকে গানপয়েন্ট রেখে গুলি চালায়। গুলি লাগে মাথার পিছনে বাঁদিকে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রাধারানি নস্কর। বিজেপি কর্মী রাধারানি নস্কর মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই তখন পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীদের দলটি।
আরও পড়ুন, 'এখনই প্রয়োগের কোনও বিষয় নেই', কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সাফ কথা পার্থর