Covid 19: রাজ্যে করোনা রুখতে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ, জোর তিন 'T'-এর উপর
পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতা, মালদা, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিং জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে বাড়ছে কোভিড (Covid 19)। পুজোর পরই রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই হাতের নাগালের বাইরে বেরিয়ে না যায়, পরিস্থতি যাতে আয়ত্তের মধ্যে থাকে, সেই উদ্দেশে একদফা নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
শনিবার করোনা (Covid 19) নিয়ে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে জেলাশাসকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুলিস সুপাররা। পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতা, মালদা, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিং জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি। বৈঠকে তাই এই জেলাগুলোর জেলাশাসকদের আলাদা করে নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।
কী কী নির্দেশ দেওয়া হল?
১) প্রয়োজন অনুযায়ী আবার কনটেইনমেন্ট জোন (Containment Zone) তৈরি করতে হবে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ (Night Curfew) কঠোরভাবে পালন করতে হবে।
২) মাস্কের (Musk) ব্যবহার আবশ্যিক করতে হবে।
৩) টিকাকরণের (Vaccination) হার বাড়াতে হবে।
৪) হাসপাতালগুলিতে কোভিড চিকিত্সা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ণ করতে হবে। পাশাপাশি নতুন ও শঙ্কাজনক রোগীদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে।
৫) সঠিকভাবে করোনা পজিটিভ রোগীদের ট্র্যাক করতে হবে। আর সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন, Covid Vaccine : ৫-১১ বছরের শিশুদের জন্য ৯১ শতাংশ কার্যকরী Pfizer-এর টিকা
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, করোনার (Covid 19) দুটো টিকা নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। এটা যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সরকারের। তাই মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরির বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পাশাপাশি ৩টে 'T' অর্থাৎ টেস্টিং (Testing), ট্র্যাকিং (Tracking)ও ট্রিটমেন্টের (Treatment) দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাত্রিকালীন কারফিউ, কনটেইনমেন্ট জোন ও মাস্কের ব্যবহারের বিষয়ে প্রয়োজনে পুলিসকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।