Mamata in Cooch Beher: 'ভোটের রাজনীতি', CAA ইস্যুতে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর...

 'সমস্ত উদ্ধাস্তু কলোনিতে স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে দিয়েছি। সে রেশন পায়, সে স্কুলে যায়, সে স্কলারশিপ, সে কিষাণবন্ধু পায়, সে শিক্ষাশ্রী পায়, সে ঐক্যশ্রী পায়, সে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়। নাগরিক না হলে পেত! নাগরিক না হলে ভোট দিতে পারত'!  

Updated By: Jan 29, 2024, 09:15 PM IST
Mamata in Cooch Beher: 'ভোটের রাজনীতি', CAA ইস্যুতে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের আগে ফের CAA ইস্যু! কেন? 'নতুন করে ক্যা ক্য়া করে চিৎকার করছে। এটা ভোটের রাজনীতি করার জন্য'। নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:  Mamata in Cooch Beher: 'বিএসএফ আলাদা আইডি দিতে চাইছে, নেবেন না, নিলে এনআরসিতে পড়ে যাবেন'

ঘটনাটি ঠিক কী? মঞ্চে তখন বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গতকাল, রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের এক জনসভায় কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের সমস্ত রাজ্যে CAA লাগু হবে'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'CAA লাঘু হলে আর কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই, আমাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার! এটাই হল সবথেকে বড় কথা। যারজন্য CAA লাগু হওয়া জরুরি'।

এদিকে চার দিনের সফরে এখন উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কোচবিহারে জনসভায় তিনি বলেন, 'NRC নিয়ে লড়াই করেছে কে?  রাজবংশী বন্ধুরা আপনারা তো ইতিমধ্যেই নাগরিক। নতুন করে ক্যা ক্য়া করে চিৎকার করছে। এটা ভোটের রাজনীতি করার জন্য। আপনারা সবাই নাগরিক।  আপনাদের সবাইকে নাগরিক হিসেবে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি'।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'সমস্ত উদ্ধাস্তু কলোনিতে স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে দিয়েছি। সে রেশন পায়, সে স্কুলে যায়, সে স্কলারশিপ, সে কিষাণবন্ধু পায়, সে শিক্ষাশ্রী পায়, সে ঐক্যশ্রী পায়, সে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়। নাগরিক না হলে পেত! নাগরিক না হলে ভোট দিতে পারত'!

আরও পড়ুন:  Lok Sabha Election 2024: মমতার ঘোষণার পরই দেওয়াল লিখনে একলা চলার বার্তা তৃণমূলের

চার বছর পার। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর সাংসদের পাশ হয়  সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনCAA)। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করার পর সেই বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালে আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু ততদিনে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। এরপর সাতবার বিধি তৈরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এখনও বিধি তৈরি করতে পারেনি সংসদীয় কমিটি।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, 'মানুষ যাঁরা এখানে আছেন, তাঁরা তো নাগরিক বটেই। এবার তাঁদের কাগজপত্র নিয়ে যদি কোনও কথা থাকে, তাহলে ২০১৯ সালে যে আইন ওরা করেছে, সেটা কিন্তু নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বা পাওয়ার জন্য যে আবেদন করতে হয়, যে আবেদন থেকে মানুষদের নাম কেটে দিয়েছিলেন ২০০৩ সালের আইনে। ২০১৯ সালে তাঁদের আবেদন করার অধিকার দেওয়া হল। আবেদন করার অধিকার, নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার এটা নয়'।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.