রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নীল তিমির আতঙ্ক
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নীল তিমির আতঙ্ক। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের হাত কেটে তিমি মাছের ছবি আকার ঘটনা এসেছে সামনে। উলুবেড়িয়ার স্কুল ছাত্রের দাবি, খেলা ছাড়তে চাওয়ায়, স্কুল থেকে ফেরার পথে তাঁকে হুমকি দেয় তিন অপরিচিত।
গুগল ট্রেন্ডসের রিপোর্ট বলে ছিল ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে সার্চ সবথেকে বেশি হয়েছে কলকাতায়। তবে শুধু মহানগরীই নয়, রাজ্যে বিভিন্ন জেলাতেও ক্রমশ বাড়ছে এই সমস্যা। হাওড়ার শ্যামপুরে শিক্ষকদের চেষ্টায় মারণ খেলা থেকে রেহাই পেয়েছে এক কিশোর। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে ওই ছাত্র। তার দাবি, খেলা শুরুর আগেই তার নাম, বায়োডেটা, আধার নম্বর চায় গেম অ্যাডমিন। ভুল আধার নম্বর দিয়েছিল ওই ছাত্র। কিন্তু তাকে অবাক করে ঠিক আধার নম্বর পাঠায় অ্যাডমিন। এরপর ছাত্রটিকে হাত কেটে ব্লু হোয়েল লিখতে বলা হয়। বন্ধুরা পরামর্শ দেয় ফোনের ওই সিমটি ব্লক করে দিতে। সেদিনই স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে হুমকি দেয় তিন জন অচেনা মোটর সাইকেল আরোহী। এরপরেই বাড়ি ফিরে হাত কেটে ব্লু হোয়েল লেখে ওই পড়ুয়া।
পরের ধাপে অ্যাডমিন তাকে এক পা ছাদে, এক পা হাওয়ায় রেখে ছবি পোস্ট করতে বলে। এর জেরেই ভয় পেয়ে যায় ছাত্র। খেলা বন্ধ করে স্কুলে চলে যায়। সেখানেই তাঁর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে ধরে ফেলেন শিক্ষকরা।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের গার্লস স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রীর হাত কাটার ঘটনায় চাঞ্চল্য। সেই ছাত্রী ও তার তিন বন্ধুর অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয় স্কুলে।
বাঁকুড়াতেও সন্দেহ হওয়ায় এক ছাত্রকে ধরে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ছাত্রটি ফোনে বিশেষ গেম থাকার কথা মেনে নিয়েছে। জানিয়েছে ওই খেলায় তাকে হাত কাটতে বলা হয়েছিল।
ক্যানিংয়ের তালদিতেও ছাত্রের হাতে তিমির ট্যাটু নিয়ে আতঙ্ক। ছাত্রের অবশ্য দাবি, ব্লু হোয়েল গেম সে খেলে না। শুধুমাত্র বন্ধুদের দেখানোর জন্যই ট্যাটু করিয়েছে। পর পর একই রকমের ঘটনায় বাড়ছে আতঙ্ক।