Mamata Banerjee: 'বিজেপির হাতে আক্রান্ত গণতন্ত্র', বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক মমতার
মমতা লিখেছেন, বিজেপি যেভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে তা আমাদের ঠেকাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকালই বিধানসভায় তোলপাড় করেছেন বিধায়করা। শাসক ও বিরোধীদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ২ বিধায়ক। এরই জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৫ বিজেপি বিধায়ককে। এর পরদিনই নতুন করে বিজেপির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে আক্রমণ করার অভিযোগ আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধার জন্য বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠিও দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তলব করছে ইডি, পাশাপাশি অনুব্রতকেও তলব করছে সিবিআই। এরকম এক পরিস্থিতিতে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের মমতা লিখেছেন, বিজেপির হাতে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র আক্রান্ত তাতে আমি উদ্বিগ্ন। ইডি, সিবিআই, আয়কর, ভিজিল্যান্স কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য। শীত অধিবেশেন দুটি বিল পাস করিয়েছে কেন্দ্র। এর বলে ইডি, সিবিআই ডিরেক্টরদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর করা হয়েছে। এটা একেবারেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধী।
মমতা লিখেছেন, বিজেপি যেভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে তা আমাদের ঠেকাতে হবে। ভোট আসলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির আওতায় বাইরে রাখা হয়। সরকার চালানোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি আমরা কিন্তু তা বলে বিজেপির এই প্রতিহিংসার রাজনীতিকে সমর্থন করা যায় না। বিচারব্যবস্থার উপরে শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, রাজনীতির ঘোরপাকে মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। গণতন্ত্র বিচার ব্যবস্থা, মিডিয়া, জনগণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর একটা যদি বিপর্যস্ত হয়ে যায় তা হলে গণতন্ত্র ভেঙে পড়বে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যা অন্যায় করছে তার প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। এর জন্য আমি চাই বিরোধীরা সবাই একসঙ্গে এসে বৈঠকে বসুন। এই অত্য়াচারী শক্তিকে ঠেকাতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই চিঠি নিয়ে নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এরকম চিঠি নতুন কিছু নয়। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে বিরোধীদের নেতাদের চিঠি দিতেই পারেন। সারদা, নারদ নিয়ে যে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে তা হচ্ছে আদালতের আদেশে। সেই নির্দেশ ঠেকানোর জন্য রাজ্য সরকার আদালতে ঘুরেছে। অভিযোগ করেছিলেন আব্দুল মান্নান। আদালতে লড়েছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। এসব যদি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ব্যবহার করা হয় তাহলে উনি বিচার ব্যবস্থাকেই আক্রমণ করছেন।
আরও পড়ুন-ভারত বনধের দ্বিতীয় দিনে কলকাতায় জায়গায় জায়গায় গন্ডগোল