Siliguri Fire: শিলিগুড়ির আগুনে পুড়ে ছাই অন্তত ৫০টি বাড়ি, সব হারানোদের পাশে পুরসভা
সকাল থেকেই শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য পানীয় জল এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার বিধায়ক শংকর ঘোষ তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কম্বল বিতরণ থেকে শুরু করে জল এবং খাওয়ার দিতে ব্যস্ত
নারায়ণ সিংহ রায়: শিলিগুড়ির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাগড়াকোর্টের ক্ষুদিরাম পল্লীতে গতকালকের বিধ্বংসী আগুনে প্রায় পঞ্চাশটির বেশি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। একেবারে পুরোপুরি নিঃস্ব বলা চলে এই ৫০টি পরিবার। চোখের সামনে দাউ দাউ করে আগুনে পুড়ে ছাই হতে দেখেছে নিজেদের বাড়িঘর। ১০ থেকে ১২ টি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে প্রথমদিকে এলাকাবাসীরা কিছুই করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে দমকলের ইঞ্জিন আসার পরেই কিছুটা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ৫০ টির উপর বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-বুকে ব্যথা; বেড়েছে রক্তচাপ! জেল থেকে হাসপাতালে অনুব্রত
শহর শিলিগুড়িতে এইরকম ভাবে আগুন লেগে সর্বস্ব পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয় । এর আগেও আমরা বহুবার এ জিনিস দেখেছে শহর। প্রশ্ন উঠছে দমকল বিভাগ বা শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশন থেকে আগাম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পাকাপোক্তভাবে ওই সমস্ত এলাকায় জলের রিজার্ভার তৈরি করা হচ্ছে না কেন? সাধারণত এই সমস্ত ঘিঞ্জি এলাকায় রাস্তাঘাট এতটাই সরু যে দমকলের গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢোকা যায় না। এমন কি দমকলের কর্মীদের আগুন নেভাতে জলের পাইপ নিয়ে ভেতরে যাওয়াও দুসকর হয়ে পড়ে। যার ফলে দমকল কর্মীরাও আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে সকাল থেকেই শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য পানীয় জল এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার বিধায়ক শংকর ঘোষ তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কম্বল বিতরণ থেকে শুরু করে জল এবং খাওয়ার দিতে ব্যস্ত। এছাড়াও শহরের বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও দেখা গেল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলির হাতে জল ও খাওয়ার তুলে দিতে।