Basanti Shocker: ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন? নাবালিকাকে 'ধর্ষণ' করে মেরে ফেলার ঘটনায় গ্রেফতার ৩...
Basanti Shocker: প্রেমের ঘটনায় মিডিলম্যানের কাজ করত দীপেন কয়াল। অন্যদিকে বুদ্ধদেব আর বিনয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিলো না। অভিযোগ, ৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় তিনজন একত্রিত হয়ে মদ্যপান করে। এরপর ওই নাবালিকা ডেকে নিয়ে ধান চাষের ক্ষেতে যায়।
প্রসেনজিৎ সর্দার: আরজি কর ও কুলতলি-জয়নগরকাণ্ডের পর সেই ছায়া পড়লো এবার বাসন্তীতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও আরজি কর-কাণ্ডে এবং কুলতলি-জয়নগরকাণ্ডে অভিযুক্তদের আজীবন কারাদণ্ড ও ফাঁসির সাজা ঘোষনা করেছে আদালত। বাসন্তীর উত্তর চুনাখালিতে খুন ও ধর্ষনের ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিস ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হল বুদ্ধদেব সর্দার, বিনয় সর্দার ও দীপেন কয়াল। ধৃত তিনজনই উত্তর চুনাখালি এলাকার বাসিন্দা। পুলিসের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই সম্ভবত ধর্ষণ করে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: হাই ড্রেনে মিলল বৃদ্ধার দেহ! অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা হাওড়ায়...
সূত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণীর ওই নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল স্থানীয় যুবক বুদ্ধদেব ও বিনয় সর্দারের সঙ্গে। প্রেমের ঘটনায় মিডিলম্যানের কাজ করত দীপেন কয়াল। অন্যদিকে বুদ্ধদেব আর বিনয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিলো না। দুজনেই জানতে পারে নাবালিকার প্রেমের কাহিনী। আবার মিডলম্যান দীপেনও সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। সেও সুযোগ নেয় ওই নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করার।
এমন ঘটনা তিন বন্ধুর মধ্যে জানা জানি হয়। অভিযোগ, ৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় তিনজন একত্রিত হয়ে মদ্যপান করে। এরপর ওই নাবালিকা ডেকে নিয়ে ধান চাষের ক্ষেতে যায়। তিনবন্ধু মিলে গণধর্ষন করে বলে অভিযোগ। ঘটনা ধামাচাপা দিতে নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। চাষের ক্ষেতে মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেয় মৃতদেহ। অন্যদিকে ওই নাবালিকার পরিবার পরিজন বিস্তর খোঁজাখুঁজি করে। না পেয়ে ১২ জানুয়ারী বাসন্তী থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন! শীত ভাগ্য ঘোরতর অনিশ্চিত...
নাবালিকার পরিবারের দাবী নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিস কোন প্রকারে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেনি। যার ফলে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার বিকালে ওই নাবালিকার বাড়ির অদূরে ধানক্ষেতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষের কাজ চলছিল। সেই সময় ওই নাবালিকার হাত মাটির উপর দেখতে পায় ট্রাক্টর চালক। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিসকে। পরে অবশ্য দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার পর সোমবার রাত ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে পুলিস। পাশাপাশি তিনজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অন্যদিকে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। অভিযুক্তরা যাতে ছাড় না পায় এবং তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয় তার দাবী জানিয়েছেন। একই দাবী জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও মৃত নাবালিকার শোকার্ত পরিবার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)