তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন কেষ্ট, দেখুন ভিডিও
বেলা ১টা নাগাদ সপার্ষদ তারাপীঠে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। মন্দিরের সামনে তখন দর্শনের জন্য থিকথিক করছে ভিড়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের সফরের ফলে বেশ কিছুক্ষণ সাধারণের জন্য তারাপীঠে বিগ্রহের দর্শন বন্ধ রাখা হয়। মন্দির থেকে বেরিয়ে অনুব্রত বলেন, 'মানুষ যাতে মিথ্যে কম বলে মায়ের কাছে সেই প্রার্থনা করেছি।' কাকে উদ্দেশ্য করে একথা বললেন অনুব্রত তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!
রবিবার কৌশিকী অমাবস্যায় হই হই ব্যাপার তারাপীঠে। এদিন বেলা ১টা নাগাদ সপার্ষদ তারাপীঠে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। মন্দিরের সামনে তখন দর্শনের জন্য থিকথিক করছে ভিড়। ফলে মন্দিরের ভিআইপি গেট দিয়ে তাঁকে ঢোকানো হয়। গর্ভগৃহে প্রায় আধ ঘণ্টা বিভিন্ন উপাচারে পুজো করেন অনুব্রত। সেসময় হাজির ছিলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিতও।
পুজো দেওয়ার মধ্যেই এক সময় হাজ জোড় করে কাঁদতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সাধারণ মানুষ তো বটেই গুড়-বাতাসা তত্ত্বের প্রবক্তা অনুব্রতর এহেন রূপ অনেকটা অচেনা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছেও। বিভিন্ন রকমের মালা ও বস্ত্র বিগ্রহে দান করেন তিনি।
পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের অনুব্রত বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মানুষের শান্তি কামনায় পুজো দিয়েছি। মায়ের কাছে চাইলাম, মিথ্যে বলা যেন বন্ধ হয়। মা বীরভূমকে অনেক দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মাকে বলেছি উনি যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন।'
তবে কে বা কারা মিথ্যে কথা বলছে তা অবশ্য খোলসা করেননি অনুব্রত। এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি এড়িয়ে তিনি বলেন, 'মন্দিরে কারও নাম করব না।'
অনুব্রতর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি, না দলের ভিতরের কেউ? কাকে ইঙ্গিত করলেন কেষ্ট দা? বীরভূমের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।