Al Queada Member Arrest: ধৃত আলকায়দা জঙ্গির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলল স্কেচ! গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
নাসিমুদ্দিনের দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সেখানে AQIS যে মডিউলের সদস্য নাসিমুদ্দিন, তাদের একটি হোয়াটসগ্রুপের সন্ধান মিলেছে।
পিয়ালি মিত্র: অল্পবয়সী জেহাদি মানসিকতার ছেলেদের চিহ্নিত করে AQIS ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব ছিল নাসিমুদ্দিন শেখের। হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপের চ্যাট হিস্ট্রি থেকে নাসিমুদ্দিনের এই ভূমিকার কথা জানতে পেরেছেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা। এখানেই শেষ নেয়, AQIS নেতারা এলে তাদের লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থাও করত নাসিমুদ্দিন। কীভাবে কোন কাজ করতে হবে, সেই বিষয়ে কার্যত স্কেচ তৈরি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁকে সেই নির্দেশ দিত AQIS নেতৃত্ব।
নাসিমুদ্দিনের দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সেখানে AQIS যে মডিউলের সদস্য নাসিমুদ্দিন, তাদের একটি হোয়াটসগ্রুপের সন্ধান মিলেছে। যে গ্রুপে AQIS-এর বেশ কয়েকজন বড় মাথা রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, অল্পবয়সী ছেলেদের কট্টর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য AQIS তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করত। সূত্রে খবর, মোবাইল দুটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। আগে কোনও ডেটা যদি ডিলিট করা হয়ে থাকে বা মুছে দেওয়া হয়ে থাকে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ধৃত নাসিমুদ্দিনকে আজ বারাসাত আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, শাসন থানার একটি UAPA মামলায় মঙ্গলবার হুগলির দাদপুর থেকে নাসিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গল এসটিএফ। নিঃসন্দেহে এসটিএফের বড় সাফল্য। মঙ্গলবার সকালে ওই যুবককে দাদপুর থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। পশ্চিম মেদিনীপুরের শাসন থানার খড়িবাড়ির একটি মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। ধৃত নাসিমুদ্দিনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের শেরপুর গ্রামে। হুগলির দাদপুরের আমিনা গ্রামে তার মামার বাড়ি। সেখানেই সেখানেই ছিল সে। উল্লেখ্য, গতবছর অগাস্ট মাসে উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে ২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। সেই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে নাসিমুদ্দিনকে।
গত এক বছর ধরে পলাতক ছিল নাসিমুদ্দিন। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে গত রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ দাদপুরে আসেন নাসিম। গোপন সূত্রে সেই খবর পায় এসটিএফ। তারপরই মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ সবাই যখন ঘুমিয়ে, তখন গ্রামে ঢোকে পুলিসের গাড়ি। দরজায় কড়া নাড়ে এসটিএফ। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা জানিয়েছেন, দরজা খুলতেই এসটিএফ জানতে চায় নাসিম কোথায়। দোতলার ঘরে তখন ঘুমিয়ে ছিলেন নাসিমউদ্দিন। মামা-ই নিয়ে যায় তার ঘরে। তারপর দরজা খুলতেই নাসিমউদ্দিনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।
ধৃত নাসিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জেহাদি ভাবধারা প্রচারের। যদিও তাদের ঘরে ছেলে জঙ্গি, একথা বিশ্বাস করতে পারছেন না মামা গোলাম মোস্তাফা ও তাঁর পরিবার। হতবাক গ্রামের বাসিন্দারাও। গত বছর ১৭ অগাস্ট শাসনের খড়িবাড়ির গ্রাম থেকে ধৃত ২ সন্দহভাজন জঙ্গি আবদুর রাকিব সরকার ও কাজি আহসানউল্লাহকে জেরা করেই নাসিমউদ্দিনের নাগাল পায় এসটিএফ।
আরও পড়ুন, Weather Update: স্বস্তি উধাও! চলতি সপ্তাহেই ফের চড়বে তাপমাত্রার পারদ, কতটা বাড়বে গরম?