সাংসদ তহবিলে পড়ে ১৫ কোটি, মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে পাল্টা চিঠি অধীরের
বিষয়টি দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন অধীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন মাত্রা পেলে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক বনাম অধীর চৌধুরীর সংঘাত।
তাঁর সাংসদ তহবিলে টাকা থেকে একটি অক্সিজেন প্লান্ট ও দুটি অ্যাম্বুল্যান্স কেনার কথা বলে জেলাশাসককে চিঠি দেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু অধীরবাবুর সাংসদ তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা নেই বলে জানিয়ে দেন জেলা শাসক। এরপরেই কেন্দ্র থেকে তাঁর এমপি তহবিলের হিসেব আনিয়ে পাল্টা চিঠি লিখলেন জেলা শাসককে। দরবার করলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। তাঁর প্রশ্ন, এই সঙ্কটের সময়ে এমন টালবাহানা করে কার লাভ হচ্ছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কমল করোনায় মৃতের সংখ্যা, আশাবাদী চিকিৎসকরা
সাংসদ তহবিলের টাকায় কান্দি(Kandi) হাসপাতালের জন্য একটি অক্সিজেন প্লান্ট ও দুটি অ্য়াম্বুল্যান্সের কেনার অনুরোধ করে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে একটি চিঠি লেখেন অধীর চৌধুরী(Adhir Chowdhury)। কিন্তু সেই চিঠির জবাবে বলা হয়, ওই অক্সিজেন প্লান্ট বসাতে লাগবে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। পাশাপাশি, অ্যাম্বুল্য়ান্স কিনতে লাগবে ১ কোটি টাকা। ওই টাকা তাঁর সাংসদ তহবিলে জমা নেই। তহবিলে রয়েছে মাত্র ৪১.৯৮ লাক টাকা।
ওই চিঠি পেয়ে অবাক হয়ে যান অধীরবাবু। তিনি চিঠি লেখেন কেন্দ্রের স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের ওই মন্ত্রকটিই এমপি ল্য়াডের টাকার হিসেব রেখে থাকে। কেন্দ্রের ওই মন্ত্রক থেকে অধীরবাবুকে জানানো হয়, ১৬তম লোকসভার মেয়াদে তাঁর সাংসদ তহবিলে রয়েছে ১২.৫ কোটি টাকা এবং ১৭তম লোকসভার মেয়াদে রয়েছে ২.৫ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ১৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-হাতে গোনা কয়েকটা দেশের মধ্যে ভারতকে টিকা পাঠাচ্ছে আমেরিকা, Modi-কে ফোন কমলার
কেন্দ্রের কাছ থেকে ওই তথ্য হাতে আসতেই অধীববাবু পাল্টা চিঠি লিখেছেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক এস কে দ্বিবেদীকে। বৃহস্পতিবার তিনি ওই চিঠিতে লিখেছেন, বহুদিনের সাংসদ হওয়ার সুবাদে এমপি ল্যাডের বিষয়টি আমি জানি। সঙ্কটের সময়ে জেলা প্রশাসন ও আমার মতে সাংসদকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এই টাকা নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়। তাই ওই টাকা যাতে আমার সাংসদ এলাকার মানুষের কাজে লাগে তার ব্যবস্থা করুন।
উল্লেখ্য, বিষয়টি দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন অধীর। তিনি বলেছেন, কার নির্দেশে ওই কাজ করেছেন জেলাশাসক। এমন সঙ্কটের সময়ে এরকম টালবাহানায় কার ক্ষতি হচ্ছে?