Bankura Arrest: অবশেষে জালে বাঙালি ব্যবসায়ী, ধৃতকে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে গেল পুলিস!
পুরুলিয়া থেকে সড়কপথে কলকাতা যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী ভবানী মুখোপাধ্যায়। মোবাইলে লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁর পিছু নেয় ঝাড়খণ্ড পুলিস। বাঁকুড়া শহরের কাছেই গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে।
মৃত্যুঞ্জয় দাস: ১৩ কোটি টাকার প্রতারণা? বাঁকুড়া থেকে এক বাঙালি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিস। ১ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হল পড়শি রাজ্যে। যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি অবশ্য প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম ভবানী মুখোপাধ্যায়। পুরুলিয়ায় একটি লোহার রড তৈরির কারখানার মালিক তিনি। এদিন পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া হয়ে সড়কপথে কলকাতা যাচ্ছিলেন ভবানী। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর মোবাইল দেখে লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলেছে ধাড়খণ্ড পুলিস। ওই ব্যবসায়ীর পিছনে ধাওয়া করেন পড়শি রাজ্যে পুলিস আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত বাঁকুড়া শহরের কাছেই গ্রেফতার করা হয় কারখানার মালিককে।
ঝাড়খণ্ড পুলিস সূত্রে খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে বোকারোয় একটি থানায় ভবানী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন ধ্রুব নারায়ণ নামে আর এক শিল্পপতি। কত টাকার? ১৩ কোটি ৬৭ লক্ষ! সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা করে ঝাড়খণ্ডের আদালত। কিন্তু ভবানী মুখোপাধ্যায়কে ধরা যাচ্ছিল না কিছুতেই!
আরও পড়ুন: Dinhata Firing: দিনহাটায় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি, চাপা উত্তেজনা এলাকায়
গ্রেফতারির পর এদিন ধৃতকে বাঁকুড়া আদালতে পেশ করে ঝাড়খণ্ড। ১ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক। অভিযুক্ত ভবানী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, 'পুরুলিয়ায় জেলায় যে একটাই লোহার কারখানা আছে, আমি তার মালিক। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়, কোটিটা আমার কাছে ফ্যাক্টর নয়। অর্থনৈতিক কারণে ব্যবসাদার কেউ অভিযোগ করতেই পারে। আমি জানি না'। তবে, আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোনায়া জারি করেছিল, সেকথা অবশ্য স্বীকার করেছেন ওই ব্যবসায়ী।