Saline Controversy: মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইন কাণ্ডে অসুস্থ ৩ প্রসূতিকে আনা হচ্ছে কলকাতায়!
সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটিতে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যেমন, 'আদৌ নিষিদ্ধ স্যালাইন কি দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিকে'? 'অ্যানাসথেসিয়াতে কী কী ওষুধ ব্য়বহার করা হয়েছিল'? কেন 'হাসপাতালে মজুত রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন'? 'স্যালাইন দেওয়ার সময়ে শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল'?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: ২ জন ভেন্টিলেশনে, আর ১ জন একজন ICU-তে। কলকাতার পথে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডে অসুস্থ ৩ প্রসূতি। গ্রিন করিডোর যখন তাঁদের আনা হচ্ছে , তখন SSKM হাসপাতালে তদন্ত কমিটির সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য়ের স্বাস্থ্যসচিব। তদন্ত কমিটির ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসচিবের কাছে প্রাথমিক রিপোর্টও জমা দিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Hooghly: পরকীয়া বা জমি নয়, সামান্য গেড়ি-গুগলির জন্য হুগলিতে চলল গুলি! মা-ছেলে...
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। সেদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সিজার হয়েছিল ৫ প্রসূতির। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। শারীরিক অবস্থায় তখন রীতিমতো আশঙ্কাজনক। ICU-কে স্থানান্তরিত করা হয় ৫ জনকেই। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতিকে। বুধবার রাতে সিজারের পর পুত্রসন্তানের জন্য দিয়েছিলেন তিনি। এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।
কীভাবে মৃত্যু? মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারের অভিযো তুলেছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ সদস্যের তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটিতে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যেমন, 'আদৌ নিষিদ্ধ স্যালাইন কি দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিকে'? 'অ্যানাসথেসিয়াতে কী কী ওষুধ ব্য়বহার করা হয়েছিল'?কেন 'হাসপাতালে মজুত রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন'? 'স্যালাইন দেওয়ার সময়ে শারীরিক অবস্থায় কেমন ছিল'?
স্বাস্থ্য় ভবন সূত্রে খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুতে কারণ ২৩৯৬ ব্যাচের রিঙ্গার রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন। এই ব্যাচের স্যালাইন নাকি দেওয়া হয়েছিল ওই প্রসূতি! অথচ প্রায় ৮ মাস আগেই ২৩৯৬ ব্যাচের রিঙ্গার রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের দেওয়া হয় ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে। তাহলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে কীভাবে ওই স্যালাইন এল? কারা সরবরাহ করল? খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে এটা নতুন নয়। এর আগেও তো দেখেছি। রোগীর জীবন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেউ চিন্তিত নয়। নির্দিষ্ট জায়গায় কাউকে টাকা দিয়ে, এই কোম্পানি বরাত পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যে টাকা দিয়েছে, সে তো মনিবের মতো মনিবের মতো আচরণ করবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যতই বিজ্ঞপ্তি জারি করুক, যে প্রোডাকশন বন্ধ করতে হরে। প্রোডাকশন বন্ধও করবে না, স্যালাউন ব্যবহার বন্ধও হবে না'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)