Wrestlers Protest At Jantar Mantar: 'সুপ্রিম কোর্টের প্রতি সম্মান, তবে আমি কিন্তু...'! বিস্ফোরক ব্রিজ ভূষণ
Wrestling Federation president Brijbhushan Sharan Singh says he is ready to resign: সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং জানিয়ে দিলেন যে, তিনি পদত্যাগপত্র দিতে রাজি আছেন। তবে কোনও অপরাধী হিসেবে তিনি ইস্তফা দেবেন না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ। তাঁকে জেলে ভরার দাবিতে তিন মাস পর ফের দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) ও সাক্ষী মালিকের (Sakshi Malik) মতো ভারতের (India) একাধিক নামী কুস্তিগিররা। কথা হচ্ছে সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার (Wrestling Federation of India) সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan) নিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিস কোনও এফআইআর দায়ের করেনি বলেই সাক্ষী-ভিনেশরা আন্দোলনে বসেছেন রাস্তায়। শুক্রবার অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিসকে যে, এবার এফআইআর করতেই হবে। সুপ্রিম রায়ের পর ব্রিজ ভূষণ তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে।
ব্রিজ ভূষণ বলেন, দেখুন 'মাননীয় আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। কুস্তিগিররা এতদিন ধরে তাঁদের দাবি জানিয়ে আসছেন এবং তাঁরা এইদাবিতে প্রতিবাদ করছে। কুস্তিগিররা আদালতে গিয়েছিল এবং আদালতও বিষয়টি নিয়ে অবগত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করে বিষয়টি তদন্ত করা উচিত। এই সিদ্ধান্তে আমি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। যখনই দরকার হবে, আমি তদন্তের জন্য সহযোগিতা করব। এই সিদ্ধান্তে আমি শুধুই সন্তুষ্ট নই, আমি সহমতও পোষণ করি। কারণ আমি এই দেশেরই একজন নাগরিক। সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আমরা আদালতের রায় নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারি না, তুলতে পারি না প্রশ্নও। এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।'
ব্রিজ ভূষণের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি কি পদত্যাগ করতে রাজি? যার উত্তরে ব্রিজ ভূষণ বলেন, 'কুস্তিগিরদের দাবি মাঝেমধ্যেই বদলে যায়। একটু শুরু থেকে ভাবুন, ওঁরা প্রথমে সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতির পদত্যাগের দাবি করেছিলেন। তারপর যৌন হেনস্থার ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। এরপর ওরা বলে যে, সরকার তদন্ত করে দেখুক। সরকার দু'টি কমিটি গঠন করে তদন্ত শেষ করল। ওরা কমিটির রিপোর্টের অপেক্ষা না করেই অন্য এক ইস্যুতে রাস্তায় আন্দোলন করতে বসে গেলেন। তারপর আবার চলে গেল সুপ্রিম কোর্টে। ওঁরা যদি আমার পদত্যাগে সন্তুষ্ট হয়, তাহলে আমি পদত্যাগপত্র আপনাদের দিয়ে দেব। আমি যদি পদত্যাগও করি, তাহলেও ওঁরা বলবেন যে, আমি পদত্যাগ করে কোনও সুবিধা করে দিচ্ছি না। যাই হোক আমার মেয়াদ এমনিই শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি মিডিয়াকে বলব, ওরাঁ যেন অনুশীলন শুরু করে দেয়। এই আন্দোলন যেন বন্ধ করে। আমি পদত্যাগ পত্র আপনাদের পাঠিয়ে দেব। আপনি যদি আমাকে পদত্যাগ করতে বলেন, আমি পদত্যাগ করতে পারি, কিন্তু অপরাধী হিসেবে নয়।'
অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ কুস্তিগীরদের পক্ষে ৩২ ধারার অধীনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে ডব্লিউএফআই প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছিল। পিটিশনে অভিযোগ করা হয় যে, ডব্লিউএফআই সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দেরি হয়েছে। এমনকি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে শুধুই যৌন হেনস্থা নয়, পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনেও অভিযোগ রয়েছে। কুস্তিগিররা এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। জানা যাচ্ছে সুপ্রিম রায়ে এবার কুস্তিগিরদের এফআইআর জমা নেবে দিল্লি পুলিস।