Pritam Kotal: 'সবজু মেরুনের মায়াটা কাটানো...'! বাগান ছেড়ে আবেগি উত্তরপাড়ার ছেলে
Pritam Kotal Leaves Mohun Bagan To Join Kerala Blasters FC: প্রীতমহীন হয়ে গেল মোহনবাগান। ক্লাবের 'ঘরের ছেলে' ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ভিন রাজ্যে। বিদায়বেলায় আবেগি প্রীতম। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করলেন তিনি। প্রীতমকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট করেছে মোহনবাগানও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)। শুধু বাংলারই নন, দেশেরও গর্ব। জাতীয় দলের নক্ষত্র ডিফেন্ডার তিনি। সদ্যই দেশের জার্সিতে ৫০ ম্যাচ খেলেছেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রীতমের হৃদয় জুড়ে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। তবে বাগান ছেড়ে ভিন শহরে পাড়ি দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন কোটাল। আগামী আইএসএলে প্রীতমের গায়ে আর থাকবে না গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের জার্সি। মেরিনার্স থেকে এখন প্রীতম টাস্টার্স! ২৯ বছরের উত্তরপাড়ার ফুটবলারের পরের স্টেশন কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters FC)। দেখতে গেলে ২০১৩-২৩ পর্যন্ত মোহনবাগানে খেলেছেন প্রীতম। মাঝে অন্য ক্লাবে অল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। বাগান ছেড়ে আবেগি প্রীতম। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Pritam Kotal: সুনীল-স্টিমাচদের নিয়ে ফেসবুক পোস্ট! কেন আবেগি হয়ে পড়লেন উত্তরপাড়ার ছেলে?
প্রীতম শুক্রবার ফেসবুকে লেখেন, 'কিচ্ছুটি থেমে থাকে না। পায়ে পায়ে পাড়ি দেয় অন্য কোথাও। তবুও ফেলে আসা সময়টুকু সাথে থেকে যায়। সেই সবুজ মেরুনের আবেগ, গ্যালারিতে সমর্থকদের চিৎকার, তাদের হাসি, তাদের চোখের জল, সতীর্থদের ভালোবাসা এগুলো না হয় জমা থাকুক আমার মনে। একসাথে বেঁধে থাকা এতগুলো বছর। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নতুন করে পাওয়া। সবকিছুই আমার সঞ্চয়কে আরও পরিপূর্ণ করেছে। তবে আপাতত টান টান উত্তেজনা নিয়েই মোহন বাগান -এর হয়ে খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেছে। বলতে দ্বিধা নেই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে কী জানেন তো, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ে পা থেকে বলটা কাটানো যায় কিন্তু এই সবজু মেরুনের মায়াটা কাটানো সত্যি একটু কঠিন হয়ে যায়। সবাইকে অফুরান ভালোবাসা। আবার দেখা হবে নতুন কোন একদিনে.....'
অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, মোহনবাগানের 'ঘরের ছেলে' প্রীতম ঘর ছাড়ছেন। জল্পনাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। অন্যদিকে সাহাল আবদুল সামাদকে দিয়ে প্রীতমকে দলে নিচ্ছে কেরালা। দুই ফুটবলারই ৩ বছরের জন্য চুক্তি করেছেন। সামাদকে নেওয়ার জন্য ১.৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিয়েছে মোহনবাগান। প্রতিবছর তিনি পাবেন ২.৫ কোটি টাকা করে। অন্যদিকে প্রীতম পাবেন প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি টাকা করে। জানা যাচ্ছে প্রীতমই হবেন কেরালার ক্যাপ্টেন। প্রীতমের বিদায়লগ্নে আবেগি হয়ে পড়েছেন মোহনবাগানের ফ্যানরাও। তাঁরা মানতে পারছেন না যে, ক্যাপ্টেন আর নেই ক্লাবে!