জিমি-কে কেউ ছুঁতে পারবে না: ম্যাকগ্রা
হয় বিরাট শিকার, নয় ৭ উইকেট, যে কোনও একটা হলেই সাউদাম্পটনের নায়ক হবেন অ্যান্ডারসন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরাটের উইকেট? না নিজেকে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি স্পিডস্টার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা? সাউদাম্পটনে কোনটা হবে অ্যান্ডারসনের আসল লক্ষ্য? তিন ম্যাচ ধরে যে লড়াইটা জিতে আসছেন ভারত অধিনায়ক, চতুর্থ টেস্টে ‘বিরাট শিকার’ করে বাজি মাতের লক্ষ্যেই যে অ্যান্ডারসন নামবেন, এ নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।
সাউদাম্পটনেও সেঞ্চুরি করবেন কোহলি, ভবিষ্যদ্বাণী ভনের
অন্যদিকে সাউদাম্পটনে জিমি অবচেতনে বয়ে বেড়াবেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি স্পিডস্টার হওয়ার অদম্য বাসনাকেও। হয় বিরাট শিকার, নয় ৭ উইকেট, যে কোনও একটা হলেই সাউদাম্পটনের নায়ক হবেন অ্যান্ডারসন।
মহম্মদ ইরফান নন, টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে বিশ্বরেকর্ড আরাফত সানির
ব্রিটিশ দলে জেমস অ্যন্ডারসনের অভিষেক হয় ২০০৩ সালে। এরপর টানা দেড় দশক, ‘সুইং সন্ত্রাস’ ছড়িয়ে ব্রিটিশ ক্রিকেটের ‘জেমস বন্ড’ এখন তিনিই। ১৪১ টেস্টে তাঁর শিকার ৫৭৭টি উইকেট। বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পেস বোলার হতে অ্যান্ডারসনের লাগবে আর মাত্র ৭ উইকেট। ৬ উইকেট পেলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন অজি কিংবদন্তী গ্লেন ম্যাকগ্রা-কে। ৫৬৩ উইকেট শিকারি অজি পেসার ম্যাকগ্রা-ই এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পেস বোলার। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে সব থেকে বেশি উইকেট শিকারের ক্ষেত্রে তিনি আছেন চার নম্বরে। তাঁর আগে রয়েছেন তিন স্পিনার, যথাক্রমে মুথাইয়া মুরলিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮), অনিল কুম্বলে (৬১৯)।
ওয়াকিফহাল মহলের একাংশই মনে করছে, পতৌদি সিরিজেই ম্যাকগ্রার ১১ বছরের অক্ষত রেকর্ড ভেঙে দেবেন অ্যান্ডারসন। এই বিষয়ে আশাবাদী স্বয়ং ম্যাকগ্রাও। তাঁর কথায়, “জিমি জীবনে যা যা অর্জন করেছে, ও তার সবকটারই যোগ্য। একজন ব্রিটিশ হওয়া সত্ত্বেও ও আমার রেকর্ড ভাঙলে খুশিই হব”। ব্রিটিশ স্পিডস্টারের প্রতি যে তিনি শ্রদ্ধাশীল, সে কথাও অকপটে জানিয়েছেন ম্যাকগ্রা। ডেইলি মেইল-কে অজি কিংবদন্তী জানিয়েছেন, তাঁর রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার পর জিমি অ্যান্ডারসনকে আর কেউ ছুঁতে পারবেন না।