IPL 2021: শেষ ওভারের খেলায় বাজিমাত মুম্বইয়ের, চাপ নিতে পারল না কলকাতা
শেষ ওভারে মুম্বই চাপটা তৈরি করে কলকাতার ওপর। আর সেই চাপটাই নিতে পারলেন না মর্গ্যানরা। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই শেষ হাসি হাসে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫২
কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৪২/৭
১০ রানে জয়ী মুম্বই
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার চিপকে কলকাতা-মুম্বই (KKR Vs MI) মুখোমুখি হয়েছিল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে। টস জিতে অইন মর্গ্যান (Eoin Morgan) অ্যান্ড কোং রান তাড়ার করার সিদ্ধান্ত নেন। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) মুম্বই টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৫২ রান। টি-২০ ফর্ম্যাটে দেড়শো প্লাস রান কখনই প্রতিপক্ষের কাছে চাপের নয়। কিন্ত লো-স্কোরিং ম্যাচে শেষের দিকে যে চাপটা হয়, সেই চাপটা মুম্বই তৈরি করে কলকাতার ওপর। আর সেই চাপটাই নিতে পারলেন না মর্গ্যানরা। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই শেষ হাসি হাসে।
চেনা ওপেনিং জুটি রোহিত ও কুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock) শুরুতেই ধাক্কা খায় এদিন। বরুণ চক্রবর্তীর বলে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মাত্র ২ রান করে ফিরে যান রাহুল ত্রিপাঠীর হাতে ক্যাচ তুলে। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় মুম্বই। এরপর তিনে নামেন মুম্বইয়ের ভরসামান ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সূর্যকুমার কিন্তু হতাশ করলেন না। ঝকঝকে হাফ-সেঞ্চুরি (৩৬ বলে ৫৬) এল তাঁর ব্যাটে। রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের জন্য ৭৬ রান যোগ করলেন তিনি। সূর্যকুমারের ইনিংসে থাকল ৭টি চার ও ২টি ছয়। শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) বলে শুভমান গিলের (Shubman Gill) হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি। সূর্য ফিরতেই তরুণ ক্রিকেটার ঈশান কিশান (Ishan Kishan) আসেন। তাঁর থেকে প্রত্যাশা থাকলেও, তিনি হতাশ করলেন এদিন। মাত্র এক রানেই তাঁর ইনিংস থামিয়ে দেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার হাতে ক্যাচ তুলে দেন ঈশান। এরপর রোহিত শর্মাও ফিরে যান সাত রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে রেখে। হিটম্যানের ৩২ বলে ৪৩ রানের ইনিংস থামে কামিন্সের বলেই। অজি পেসার রোহিতের উইকেট ছিটকে দেন। ঈশান আউট হওয়ার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মুম্বই। রোহিতের পর ব্যাক-টু-ব্যাক ফিরে যান দুই গেমচেঞ্জার হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya) ও কায়রন পোলার্ড (Kieron Pollard)। হার্দিক করলেন ১৫ রান, পোলার্ডের ব্যাট থেকে এল মাত্র ৫ রান। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (Krunal Pandya) চেষ্টা করেছিলেন কিছু করার। তবে দাদার মতো তিনিও করেন ১৫। মুম্বই শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে উঠল ১৫২।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন কলকাতার দুই ওপেনার নিতীশ রানা (Nitish Rana) ও শুভমান গিল (Shubman Gill)। জুটি বেঁধে ৭২ রান তুলে ফেলেন তাঁরা। গিল ২৪ বলে ৩৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ফিরে যান। রাহুল চাহারের বলে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। গিল আউট হওয়ার পরেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় কেকেআর। পরপর রাহুল ত্রিপাঠী (৫) ও ক্যাপ্টেন মর্গ্যান (৭) আউট হয়ে যান। থেমে যায় নিতীশের ব্যাটও। ৪৭ বলে ৫৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। এদিন ৬টি চার ও ২টি ছয় মারেন নিতীশ। ডি'কক তাঁকে স্টাম্প করে দেন। এরপর বাংলাদেশি অলরাউন্ডার শাকিবকেও ফিরতে হয় ৯ রানে। কেকেআরের হয়ে জয়ের চিত্রনাট্য লেখার দায়িত্বটা নিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) ও আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। কিন্তু শেষ ৬ বলে ১৫ রানের চাপটা হয়তো একটু বেশিই হয়ে গেল দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে। বিশ্ববন্দিত পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে দায়িত্বটা দিয়েছিলেন রোহিত। বোল্ট জানেন তাঁকে কী করতে হবে। রাসেলকে আউট করে দিলেন ২০ নম্বর ওভারের তৃতীয় বলে। এরপর প্যাট কামিন্সকে বোল্ড করে মুম্বইয়ের হয়ে ম্য়াচটা জিতে নেন তিনি বোল্ট।