Rohit Sharma, DC vs MI: অর্ধ শতরান পেলেন রোহিত, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে জিতে হারের হ্যাটট্রিক থেকে বাঁচল মুম্বই
ফের একবার ব্যর্থ হলেন পৃথ্বী শাহ। মাত্র ১৫ রান করে আউট হলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে ওয়ার্নার জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু রানের গতি খুব একটা বেশি ছিল না। বাধ্য হয়ে মারতে গিয়ে পীযূশ চাওলার বলে ২৮ রান করে আউট হন মণীশ।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অধিনায়ক রোহিত শর্মার অর্ধ শতরানের উপর ভর করে, হারের হ্যাটট্রিকের লজ্জা থেকে বাঁচল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় পাঁচবারের আইপিএল জয়ী দল। ব্যাটিং-বোলিং, সব বিভাগেই ডেভিড ওয়ার্নারের দিল্লি ক্যাপিটালসকে সব বিভাগেই টেক্কা দিল মুম্বই। শেষ দিকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়লেও, একেবারে শেষ বলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ল মুম্বই।
চেজ করতে নেমে দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করেন রোহিত ও ঈশান কিশান। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে দুই ওপেনার প্রথম উইকেটে ৭১ রান তুলে দেন। কিন্তু এরপরেই ছন্দপতন। রোহিতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জন্য রান হলেন ঈশান। বাঁহাতি ওপেনার ২৬ বলে ৩১ রানে ফিরে যান। ঈশান ফিরে গেলেও রান চেজ করতে মুম্বইকে বেগ পেতে হয়নি। তরুণ তিলক ভার্মাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন রোহিত। এরই মাঝে ২০২১ সালের পর অর্ধ শতরানও সেরে নিলেন তিনি। তখন মনে হয়েছিল দিল্লির হার শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ১৬তম ওভারে বল করতে এসে পরপর দুই বলে তিলক ও সূর্য কুমার যাদবকে ফিরিয়ে দেন মুকেশ কুমার। তিলক ২৯ বলে ৪১ রান করলেও, ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। সূর্যর অবস্থা তো আরও খারাপ। এবার 'গোল্ডেন ডাক' করে ফিরলেন সূর্য। ১৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন বেশ চাপে মুম্বই।
১৭ ওভারের শেষ বলে সেই চাপ আরও বেড়ে গেল। মুস্তাফিজুর রহমানের শেষ ডেলিভারি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে ছিল। রোহিত সেই বলকে মারতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় অভিষেক পোড়েলের হাতে। শরীরকে শুন্যে ছুঁড়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ ধরলেন বঙ্গ তনয়। ফলে রোহিত ৪৫ বলে ৬৫ রান করে আউট হলেন। তবে এতে দিল্লির কপাল ফিরল না। ১৯তম ওভারের চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে মুস্তাফিজকে দুটি ছক্কা মারলেন ক্যামেরুন গ্রিন ও টিম ডেভিড। ফলে ম্যাচ জিতে গেল মুম্বই।
আরও পড়ুন: Rinku Singh, IPL 2023:নাইটদের নতুন তারকা কোন অন্ধকার দিক তুলে ধরলেন?
দিল্লির হারের অবশ্য আর একটা বড় কারণ হল নির্বিষ ব্যাটিং। ওয়ার্নার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে আরও একটি অর্ধ শতরান করলেন। তবে সেই ইনিংসে গনগনে ব্যাপার তেজ ছিল না। তাই তাঁর ৪৭ বলে ৫১ রানের ইনিংস থেকে অনেক বেশি দামী হয়ে থাকল অক্ষর প্যাটেলের ঝড় তোলা ২৫ বলে ৫৪ রান। ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ইনিংসের জন্যই ১৯.৪ ওভারে ১৭২ রান তুলতে পেরেছিল দিল্লি।
ফের একবার ব্যর্থ হলেন পৃথ্বী শাহ। মাত্র ১৫ রান করে আউট হলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে ওয়ার্নার জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু রানের গতি খুব একটা বেশি ছিল না। বাধ্য হয়ে মারতে গিয়ে পীযূশ চাওলার বলে ২৮ রান করে আউট হন মণীশ। এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক যশ ধুলের। কিন্তু শুরুটা ভাল হল না তাঁর। মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। দিল্লির মিডল অর্ডারকে ধরাশায়ী করলেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার পীযূশ। ২২ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি।
অন্য দিকে একের পর এক উইকেট পড়লেও টিকে ছিলেন ওয়ার্নার। ৪২ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে আবার উদ্ধার করলেন অক্ষর। শুরু থেকেই বড় শট মারতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ২২ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন অক্ষর। চলতি মরসুমে এটি তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতরান। একটা সময় মনে হচ্ছিল দলের রান ১৮০ পার করিয়ে দেবেন তিনি। কিন্তু ২৫ বলে ৫৪ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন অক্ষর। সেই ওভারেই ৪৭ বলে ৫১ রান করে আউট হলেন ওয়ার্নার।