ধোনি, প্রসাদের গলার স্বর নকল করে জালিয়াতি, গ্রেফতার রনজি ক্রিকেটার

মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম ব্যবহার করে এবং তাদের গলার স্বর নকল করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন নাগারাজু। 

Updated By: May 4, 2019, 02:13 PM IST
ধোনি, প্রসাদের গলার স্বর নকল করে জালিয়াতি, গ্রেফতার রনজি ক্রিকেটার

নিজস্ব প্রতিবেদন : মহেন্দ্র সিং ধোনি হোন বা বোর্ডের নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদ। তিনি সবার গলা নকল করতে পারেন। যে কারও সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটালেন তাঁর গলার স্বর নকল করা শিখে নিতে পারেন তিনি। এটা তাঁর প্রতিভা বলতে পারেন। আবার তাঁর অস্ত্রও বলা যায়। কারণ সেটাকে কাজে লাগিয়েও বড়সড় জালিয়াতি করলেন বুদামারু নাগারাজু। 

মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম ব্যবহার করে এবং তাদের গলার স্বর নকল করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন নাগারাজু। খুব বেশিদিন অবশ্য এমন দুষ্কর্ম চালিয়ে যেতে পারলেন না। ইতিমধ্যে বিজয়াওয়াড়া সিটি পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া ঠকবাজির মামলাও করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে। 

আরও পড়ুন-  গম্ভীরের কোনও ব্যক্তিত্ব নেই, আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক আফ্রিদি

অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে রনজি খেলেছেন নাগারাজু। ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ২০১৪ সালেও অন্ধ্রের হয়ে রনজিতে খেলেছেন। এছাড়া ২০১১ সালে সাউথ জোন এবং ২০১৩ সালে সেন্ট্রাল জোনের হয়েও খেলেছেন তিনি। তার থেকেও বড় কথা, টানা ৮২ ঘণ্টা নেটে ব্যাটিং করার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও রয়েছে নাগারাজুর। এমন একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার তিনি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার পরই মূলত বিলাসবহুল জীবনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন নাগারাজু।

আরও পড়ুন-  রাহুল দ্রাবিড়কে গালিগালাজ করেছিলেন শ্রীসন্থ!

বিজয়ওয়াড়া পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, নাগারাজু ক্রিকেটার হিসাবে সফল হওয়ার পর বিভিন্ন ফার্ম থেকে স্পন্সরশিপ পেতে শুরু করেন। বিলাসবহুল জীবনযাপন শুরু করেন তার পর থেকে। গত বছর গোপাল নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে এমএস ধোনি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি খোলার নাম করে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন নাগারাজু। তার পর তাঁর নামে বিশাখাপত্তনমে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানায় গোপাল নামের সেই ব্যক্তি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদের নাম করেও লোক ঠকিয়েছেন নাগারাজু। সম্প্রতি প্রসাদের সঙ্গে কয়েকটি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগারাজু। সেখান থেকেই তাঁর গলার স্বর  নকল করা শিখে নেন তিনি। এর পর রামকৃষ্ণ হাউজিং প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পুরোটাই করেছিলেন প্রসাদের নাম ও গলার স্বর ব্যবহার করে।

.