ধন্যি মেয়ের অধ্যাবসায়

Mar 07, 2013, 18:46 PM IST
1/15

অ্যানা ফ্র্যাঙ্কঅ্যানালিস মারি ‘অ্যানা’ ফ্র্যাংক হলোকস্টের স্বীকার সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও বিখ্যাত ইহুদি ব্যক্তি। তিনি পরিচিত তাঁর মানসম্পন্ন লেখনীর জন্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার তাঁর দিনলিপি এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পঠিত বই, এবং অনেক চলচ্চিত্র ও নাটকের মূল বিষয় হিসেবে গৃহীত।

অ্যানা ফ্র্যাঙ্ক
অ্যানালিস মারি ‘অ্যানা’ ফ্র্যাংক হলোকস্টের স্বীকার সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও বিখ্যাত ইহুদি ব্যক্তি। তিনি পরিচিত তাঁর মানসম্পন্ন লেখনীর জন্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার তাঁর দিনলিপি এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পঠিত বই, এবং অনেক চলচ্চিত্র ও নাটকের মূল বিষয় হিসেবে গৃহীত।

2/15

ভার্জিনিয়া উলফ``যদি কোনও মহিলা স্বাধীন ভাবে উপন্যাস লিখতে চান তা হলে তাঁর চাই নিজস্ব একটি ঘর, তাঁকে হতে হবে উপার্জনক্ষম, তা না হলে স্বাধীন ভাবে পুরুষতন্ত্রের নজরদারি উপেক্ষা করে এক জন মেয়ের পক্ষে লেখালিখি চালিয়ে যাওয়া মুশকিল।`` এই কথা যাঁর পৃথিবীর নারী মুক্তি আন্দোলনের ইতিহাস তাঁকে ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। তিনি ভার্জিনিয়া উলফ। এই ইংরেজ সাহিত্যিক বিংশ শতকের সেরা মুখ।  ভার্জিনিয়া নিজের জীবন দিয়েই বুঝতে পেরেছিলেন মেয়েদের সমস্যার কথা। তাঁর বাবা সার লেসলি স্টিফেন ছিলেন বেশ ক্ষমতাশালী লেখক, সমালোচক ও শখের পর্বতারোহী। তিনি মনে করতেন মেয়েদের প্রথাগত ভাবে পড়াশোনা করার কোনও দরকার নেই, ইস্কুলে যাওয়ার অধিকার আছে শুধু পরিবারের ছেলেদের। এমন পরিবারে বড় হয়ে উঠেছিলেন ভার্জিনিয়া, কাজেই নিজের ঘরের অধিকার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি তাঁর।যাঁদের দিকে লক্ষ্য রেখে ভার্জিনিয়া বক্তৃতামালা সাজিয়েছিলেন, বিলেতের কলেজের সেই শিক্ষিত মেয়েরাও অনুভব করতে পেরেছিলেন তাঁর কথা। পড়াশোনা মেয়েদের স্বাধীন রুচি আর বোধ দেয় বটে, কিন্তু সেই অনুযায়ী নিজের মতো জীবন যাপনের উপযোগী একখানা ঘর সমাজ দিতে চায় না। মেয়েদের তা আদায় করে নিতে হয়। কখনও সেই ঘর জোটে, কখনও জোটে না।

ভার্জিনিয়া উলফ
``যদি কোনও মহিলা স্বাধীন ভাবে উপন্যাস লিখতে চান তা হলে তাঁর চাই নিজস্ব একটি ঘর, তাঁকে হতে হবে উপার্জনক্ষম, তা না হলে স্বাধীন ভাবে পুরুষতন্ত্রের নজরদারি উপেক্ষা করে এক জন মেয়ের পক্ষে লেখালিখি চালিয়ে যাওয়া মুশকিল।`` এই কথা যাঁর পৃথিবীর নারী মুক্তি আন্দোলনের ইতিহাস তাঁকে ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। তিনি ভার্জিনিয়া উলফ। এই ইংরেজ সাহিত্যিক বিংশ শতকের সেরা মুখ।
ভার্জিনিয়া নিজের জীবন দিয়েই বুঝতে পেরেছিলেন মেয়েদের সমস্যার কথা। তাঁর বাবা সার লেসলি স্টিফেন ছিলেন বেশ ক্ষমতাশালী লেখক, সমালোচক ও শখের পর্বতারোহী। তিনি মনে করতেন মেয়েদের প্রথাগত ভাবে পড়াশোনা করার কোনও দরকার নেই, ইস্কুলে যাওয়ার অধিকার আছে শুধু পরিবারের ছেলেদের। এমন পরিবারে বড় হয়ে উঠেছিলেন ভার্জিনিয়া, কাজেই নিজের ঘরের অধিকার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি তাঁর।
যাঁদের দিকে লক্ষ্য রেখে ভার্জিনিয়া বক্তৃতামালা সাজিয়েছিলেন, বিলেতের কলেজের সেই শিক্ষিত মেয়েরাও অনুভব করতে পেরেছিলেন তাঁর কথা। পড়াশোনা মেয়েদের স্বাধীন রুচি আর বোধ দেয় বটে, কিন্তু সেই অনুযায়ী নিজের মতো জীবন যাপনের উপযোগী একখানা ঘর সমাজ দিতে চায় না। মেয়েদের তা আদায় করে নিতে হয়। কখনও সেই ঘর জোটে, কখনও জোটে না।

3/15

জোয়ান অফ আর্কইতিহাস ঘাঁটাঘাটি করলে যে কয়জন সাহসী, যোদ্ধা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী পাওয়া যায় তাদের মধ্যে জোয়ান অফ আর্ক ছিলেন অন্যতম। তিনি ছিলেন পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা এবং রূপকথাতুল্য এক নেত্রী। মিউজ নদীর তীরে দঁরেমি গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে ১৪৪২ সালের ৬ই জানুয়ারী এই বীর নারীর জন্ম। ফ্রান্স তখন ইংরেজদের শাসনাধীন ছিল। ইংল্যান্ডের রাজপুত্র ষষ্ঠ হেনরি ফ্রান্সের সিংহাসনে আরোহন করলে ফ্রান্সের রাজা সপ্তম চার্লস পালিয়ে যান। কথিত আছে মাত্র তের বছর বয়সে মাঠে ভেড়ার পাল চড়াবার সময় জোয়ান দৈববাণী শুনতে পান যে তাকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ও ফ্রান্সের প্রকৃত রাজাকে ক্ষমতায় পূনর্বহাল করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। এরপর ৪০০০ সৈন্য নিয়ে ইংরেজদের একের পর এক যুদ্ধ পরাজিত করেন। এরফলে ফ্রান্সের রাজসভায় জোয়ানের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। হিংসার কারণ হয়ে ওঠেন কয়েকজন পুরুষ সভাসদের। তাদেরই বিশ্বাসঘাতকতায় ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন জোয়ান। ডাইনি অপবাদে ইতিহাসের এই বীরঙ্গনাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়।

জোয়ান অফ আর্ক
ইতিহাস ঘাঁটাঘাটি করলে যে কয়জন সাহসী, যোদ্ধা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী পাওয়া যায় তাদের মধ্যে জোয়ান অফ আর্ক ছিলেন অন্যতম। তিনি ছিলেন পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা এবং রূপকথাতুল্য এক নেত্রী। মিউজ নদীর তীরে দঁরেমি গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে ১৪৪২ সালের ৬ই জানুয়ারী এই বীর নারীর জন্ম। ফ্রান্স তখন ইংরেজদের শাসনাধীন ছিল। ইংল্যান্ডের রাজপুত্র ষষ্ঠ হেনরি ফ্রান্সের সিংহাসনে আরোহন করলে ফ্রান্সের রাজা সপ্তম চার্লস পালিয়ে যান। কথিত আছে মাত্র তের বছর বয়সে মাঠে ভেড়ার পাল চড়াবার সময় জোয়ান দৈববাণী শুনতে পান যে তাকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ও ফ্রান্সের প্রকৃত রাজাকে ক্ষমতায় পূনর্বহাল করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। এরপর ৪০০০ সৈন্য নিয়ে ইংরেজদের একের পর এক যুদ্ধ পরাজিত করেন। এরফলে ফ্রান্সের রাজসভায় জোয়ানের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। হিংসার কারণ হয়ে ওঠেন কয়েকজন পুরুষ সভাসদের। তাদেরই বিশ্বাসঘাতকতায় ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন জোয়ান। ডাইনি অপবাদে ইতিহাসের এই বীরঙ্গনাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়।

4/15

সিমন দে বেভোয়রফরাসী নারীবাদি এই দার্শনিক, লেখিকা পৃথিবীতে নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোচ্চার মুখ। তাঁর সেকেন্ড সেক্স বইটিতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান, যুগ যুগ ধরে নারীদের আলাদা করে রাখার চেষ্টা, পুরুষদের ইচ্ছানুযায়ী মেয়েদের চালিত করার মত বহু আলোচিত প্রাসঙ্গিক বিষয় প্রথমবার দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরেন।

সিমন দে বেভোয়র
ফরাসী নারীবাদি এই দার্শনিক, লেখিকা পৃথিবীতে নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোচ্চার মুখ। তাঁর সেকেন্ড সেক্স বইটিতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান, যুগ যুগ ধরে নারীদের আলাদা করে রাখার চেষ্টা, পুরুষদের ইচ্ছানুযায়ী মেয়েদের চালিত করার মত বহু আলোচিত প্রাসঙ্গিক বিষয় প্রথমবার দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরেন।

5/15

ধন্যি মেয়ের অধ্যাবসায়পৃথিবীর ইতিহাসে চিরকালই মেয়েদের অগ্রগতির পথ কাঁটায় দীর্ণ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পদিক্ষেপে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে যুগযুগ ধরেই। সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যে সমস্ত চিরস্মরণীয়ারা সমৃদ্ধ করেছেন নারী প্রগতির পথকে, সাহস জুগিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সব বাধা ভেঙে অর্ধেক আকাশকে চিনে নিতে তাঁদের মাত্র কয়েক জনকে তুলে আনতে পারলাম আমাদের স্লাইড শোতে। যাঁদেরকে আমরা তুলে আনতে পারলাম না আমাদের স্লাইড শোতে সেই সমস্ত মহীয়সী এবং পৃথিবীর সমস্ত নারীদেরকে জানালাম আন্তরিক শ্রদ্ধা।

ধন্যি মেয়ের অধ্যাবসায়
পৃথিবীর ইতিহাসে চিরকালই মেয়েদের অগ্রগতির পথ কাঁটায় দীর্ণ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পদিক্ষেপে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে যুগযুগ ধরেই। সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যে সমস্ত চিরস্মরণীয়ারা সমৃদ্ধ করেছেন নারী প্রগতির পথকে, সাহস জুগিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সব বাধা ভেঙে অর্ধেক আকাশকে চিনে নিতে তাঁদের মাত্র কয়েক জনকে তুলে আনতে পারলাম আমাদের স্লাইড শোতে। যাঁদেরকে আমরা তুলে আনতে পারলাম না আমাদের স্লাইড শোতে সেই সমস্ত মহীয়সী এবং পৃথিবীর সমস্ত নারীদেরকে জানালাম আন্তরিক শ্রদ্ধা।

6/15

রোসা লুক্সেমবার্গজন্মসূত্রে পোলিশ মার্কসবাদী তাত্তিক, সমাজ দার্শনিক ও বিপ্লবী । তিনি পোল্যান্ড সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তাত্তিক ছিলেন । পরে তিনি জার্মান সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এসপিডি)সাথে জড়িয়ে পড়েন । ১৯১৮ সালের নভেম্বরে তিনি ডি রোটে ফাহরে (বাংলা: লাল পতাকা) পত্রিকা চালু করেন । এসপিডি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সমর্থন দেবার পর তিনি কার্ল লিবটকেনেখট-এর সাথে স্পার্টাসিস্ট লীগ (জার্মান : স্পার্টাকুসবুন্ড ) নামক এক বিপ্লবী দল গঠন করেন যেটা পরে কমিউনিস্ট পার্টি অফ জার্মানী নামে পরিচিতি লাভ করে । লুক্সেমবার্গ ১৯১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এক ব্যর্থ অভ্যুথানের নেতৃত্ব দেন । অভ্যুথান ব্যর্থ হবার পর রোজা লুক্সেমবুর্গ, কার্ল লিবটকেনেখট সহ হাজার হাজার বিপ্লবী ধরা পড়েন ও তাদের হাতে নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ।

রোসা লুক্সেমবার্গ
জন্মসূত্রে পোলিশ মার্কসবাদী তাত্তিক, সমাজ দার্শনিক ও বিপ্লবী । তিনি পোল্যান্ড সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তাত্তিক ছিলেন । পরে তিনি জার্মান সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এসপিডি)সাথে জড়িয়ে পড়েন । ১৯১৮ সালের নভেম্বরে তিনি ডি রোটে ফাহরে (বাংলা: লাল পতাকা) পত্রিকা চালু করেন । এসপিডি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সমর্থন দেবার পর তিনি কার্ল লিবটকেনেখট-এর সাথে স্পার্টাসিস্ট লীগ (জার্মান : স্পার্টাকুসবুন্ড ) নামক এক বিপ্লবী দল গঠন করেন যেটা পরে কমিউনিস্ট পার্টি অফ জার্মানী নামে পরিচিতি লাভ করে । লুক্সেমবার্গ ১৯১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এক ব্যর্থ অভ্যুথানের নেতৃত্ব দেন । অভ্যুথান ব্যর্থ হবার পর রোজা লুক্সেমবুর্গ, কার্ল লিবটকেনেখট সহ হাজার হাজার বিপ্লবী ধরা পড়েন ও তাদের হাতে নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ।


7/15

মেরি কুরিপ্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এই ফরাসি বিজ্ঞানী ১৯০৩ সালে তেজস্ক্রিয়তার উপর গবেষণার জন্য তার স্বামী পিয়ের ক্যুরি এবং তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক অঁরি বেকেরেলের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। ১৯১১-তে রেডিয়াম ও পোলানিয়াম আবিষ্কারের জন্য রসায়নে নোবএল পান এই চিরস্মরণীয় বিজ্ঞানী।

মেরি কুরি
প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এই ফরাসি বিজ্ঞানী ১৯০৩ সালে তেজস্ক্রিয়তার উপর গবেষণার জন্য তার স্বামী পিয়ের ক্যুরি এবং তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক অঁরি বেকেরেলের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। ১৯১১-তে রেডিয়াম ও পোলানিয়াম আবিষ্কারের জন্য রসায়নে নোবএল পান এই চিরস্মরণীয় বিজ্ঞানী।

8/15

মণিপুরের মায়েরা২০০৪-এর জুলাইয়ের এক সকালে ভারত তথা সারা বিশ্ব দেখেছিল এক অভিনব প্রতিবাদ। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে জনা পঞ্চাশেক মধ্যবয়সী মহিলা আর্মি সদর দফতরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে জনা বারো নগ্ন। হাতে ব্যানার। তাতে জ্বল জ্বল করছে লাল কালির লেখা। ``ভারতীয় সেনা আমাদের ধর্ষণ কর।`` বহুদিন ধরেই সেনাবাহিনীর ধর্ষণ, অত্যাচার, খুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছিল উত্তর পূর্বের ছোট্ট রাজ্য মণিপুর। সরকার থেকে সংবাদমাধ্যম, কারোরই সৌজন্য জোটেনি এদের কপালে। মধ্যতিরিশের তাংলাম মনোরমাকে কোন প্রমাণ ছাড়াই এনকাউন্টারের হত্যা করে আসাম রাইফেলের সেনারা। তার পরেই মণিপুরের মায়েরা বেছে নেন প্রতিবাদের এই পন্থা। এর আগে পৃথিবী কি কোনও দিনও এত সোচ্চার শালীন নগ্ন প্রতিবাদ দেখেছিল কি?

মণিপুরের মায়েরা
২০০৪-এর জুলাইয়ের এক সকালে ভারত তথা সারা বিশ্ব দেখেছিল এক অভিনব প্রতিবাদ। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে জনা পঞ্চাশেক মধ্যবয়সী মহিলা আর্মি সদর দফতরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে জনা বারো নগ্ন। হাতে ব্যানার। তাতে জ্বল জ্বল করছে লাল কালির লেখা। ``ভারতীয় সেনা আমাদের ধর্ষণ কর।``

বহুদিন ধরেই সেনাবাহিনীর ধর্ষণ, অত্যাচার, খুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছিল উত্তর পূর্বের ছোট্ট রাজ্য মণিপুর। সরকার থেকে সংবাদমাধ্যম, কারোরই সৌজন্য জোটেনি এদের কপালে। মধ্যতিরিশের তাংলাম মনোরমাকে কোন প্রমাণ ছাড়াই এনকাউন্টারের হত্যা করে আসাম রাইফেলের সেনারা। তার পরেই মণিপুরের মায়েরা বেছে নেন প্রতিবাদের এই পন্থা। এর আগে পৃথিবী কি কোনও দিনও এত সোচ্চার শালীন নগ্ন প্রতিবাদ দেখেছিল কি?

9/15

রোসা পার্কসআমেরিকা তথা সারা বিশ্বের বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সেরা মুখ। ১৯৫৫ তে মন্টোগামিতে বাসে ড্রাইভারের দাবি মেনে নিজের সিট সাদা চামড়ার মানুষদের ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেছিলেন রোসা। তাঁর প্রতিবাদ এরপর ধীরে ধীরে আমেরিকার বুকে বৃহত্তর আন্দোলন রূপে ছড়িয়ে পড়ে। জেলে যেতে হয় পার্কসকে। কিন্তু থেমে থাকেনি তাঁর প্রতিবাদ। কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সমানাধিকারের দাবিতে সারাজীবন সোচ্চার ছিলেন তিনি।

রোসা পার্কস
আমেরিকা তথা সারা বিশ্বের বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সেরা মুখ। ১৯৫৫ তে মন্টোগামিতে বাসে ড্রাইভারের দাবি মেনে নিজের সিট সাদা চামড়ার মানুষদের ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেছিলেন রোসা। তাঁর প্রতিবাদ এরপর ধীরে ধীরে আমেরিকার বুকে বৃহত্তর আন্দোলন রূপে ছড়িয়ে পড়ে। জেলে যেতে হয় পার্কসকে। কিন্তু থেমে থাকেনি তাঁর প্রতিবাদ। কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সমানাধিকারের দাবিতে সারাজীবন সোচ্চার ছিলেন তিনি।

10/15

কাদম্বিনী গাঙ্গুলিভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার। প্রথম মহিলা হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেনীতে পাস করেন । তাঁর দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে বেথুন কলেজ প্রথম এফএ (ফার্স্ট আর্টস) এবং তারপর অন্যান্য স্নাতক শ্রেনী আরম্ভ করে। কাদম্বিনী এবং চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজের প্রথম গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে । তাঁরা বিএ পাস করেছিলেন । তাঁরা ছিলেন ভারতে এবং সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট ।এরপর কাদম্বিনী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ডাক্তারি পড়বেন । কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষায় সমস্ত বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করলেও একটি প্র্যাকটিকাল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ইচ্ছা করে কাদম্বিনীকে ফেল করিয়ে দেন। কারণ সেই শিক্ষক বিশ্বাস করতেন বিজ্ঞান পড়লে মেয়েদের নারীত্ব নষ্ট হয়। কিন্তু এতেও দমে যাননি কাদম্নিনী। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে বিলেত যান । এক বছর পরে এল আর সি পি (এডিনবরা), এল আর সি এস (গ্লাসগো) এবং ডি এফ পি এস (ডাবলিন) উপাধি নিয়ে দেশে ফেরেন ।আমৃত্যু তিনি সাফল্যের সঙ্গে ডাক্তারি করে গেছেন। ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম মহিলা বক্তা। ভারতের অহিংস আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এই বিদূষী মহিলা।

কাদম্বিনী গাঙ্গুলি
ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার। প্রথম মহিলা হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেনীতে পাস করেন । তাঁর দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে বেথুন কলেজ প্রথম এফএ (ফার্স্ট আর্টস) এবং তারপর অন্যান্য স্নাতক শ্রেনী আরম্ভ করে। কাদম্বিনী এবং চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজের প্রথম গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে । তাঁরা বিএ পাস করেছিলেন । তাঁরা ছিলেন ভারতে এবং সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট ।

এরপর কাদম্বিনী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ডাক্তারি পড়বেন । কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষায় সমস্ত বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করলেও একটি প্র্যাকটিকাল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ইচ্ছা করে কাদম্বিনীকে ফেল করিয়ে দেন। কারণ সেই শিক্ষক বিশ্বাস করতেন বিজ্ঞান পড়লে মেয়েদের নারীত্ব নষ্ট হয়। কিন্তু এতেও দমে যাননি কাদম্নিনী। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে বিলেত যান । এক বছর পরে এল আর সি পি (এডিনবরা), এল আর সি এস (গ্লাসগো) এবং ডি এফ পি এস (ডাবলিন) উপাধি নিয়ে দেশে ফেরেন ।

আমৃত্যু তিনি সাফল্যের সঙ্গে ডাক্তারি করে গেছেন। ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম মহিলা বক্তা। ভারতের অহিংস আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এই বিদূষী মহিলা।

11/15

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহীদ।১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম পরিকল্পনা ছিল পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণের অন্যতম নেত্রী ছিলেন তিনি।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
ভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহীদ।১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম পরিকল্পনা ছিল পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণের অন্যতম নেত্রী ছিলেন তিনি।

12/15

জাহানারা ইমামবাংলাদেশী লেখিকা, শহীদ জননী, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ একাত্তরের দিনগুলি। একাত্তরে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই তিনি `শহীদ জননী`র মযার্দায় ভূষিত হন ৷

জাহানারা ইমাম
বাংলাদেশী লেখিকা, শহীদ জননী, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ একাত্তরের দিনগুলি। একাত্তরে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই তিনি `শহীদ জননী`র মযার্দায় ভূষিত হন ৷

13/15

র‍্যাচেল কারসনএই মার্কিনি সমুদ্র বিজ্ঞানী বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। তিনিই প্রথম জনিতে রাসয়ানিক কীটনাশক ব্যবহারে সোচ্চার হয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন ডিডিটির মত কীটনাশক আসলে পরিবেশ ধ্বংস করে। কিন্তু তাঁর কথা সহজেই কেউ মেনে নেয়েনি।  ``অবিবাহিত, নিঃসন্তান কেউ মাটির ফার্টিলিটি বৃদ্ধি সহ্য করতে পারে না``-র মত ঘৃণ্য কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে হয়েছিল তাঁকে। পরে অবশ্য কারসনের যুক্তি মানতে বাধ্য হয়েছে সবাই।

র‍্যাচেল কারসন
এই মার্কিনি সমুদ্র বিজ্ঞানী বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। তিনিই প্রথম জনিতে রাসয়ানিক কীটনাশক ব্যবহারে সোচ্চার হয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন ডিডিটির মত কীটনাশক আসলে পরিবেশ ধ্বংস করে। কিন্তু তাঁর কথা সহজেই কেউ মেনে নেয়েনি। ``অবিবাহিত, নিঃসন্তান কেউ মাটির ফার্টিলিটি বৃদ্ধি সহ্য করতে পারে না``-র মত ঘৃণ্য কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে হয়েছিল তাঁকে। পরে অবশ্য কারসনের যুক্তি মানতে বাধ্য হয়েছে সবাই।

14/15

মালালা ইউসুফজাইতালিবানি ফতোয়ার কাছে মাথা নোয়ায়নি পাকিস্তানের এই কিশোরী। সব ভয় অগ্রাহ্য করে নিজের শিক্ষার অধিকারে সোচ্চার হয়েছিল সে। `পুরষ্কার` স্বরূপ মালালার ছোট্ট শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল পাকিস্তানিদের বুলেট। তবুও হার মানেনি মালালা। তার অদম্য জেদের কাছে পরাজিত হয়েছে মৃত্যু। আজ সে সুস্থ। প্রস্তুত স্কুলে যাওয়ার জন্য। বছর ১৫-এর এই মেয়েটি স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে তারই মত লাখ লাখ কিশোরীকে। সাহস যুগিয়েছে। নিজের শিক্ষার অধিকার বুঝে নিতে শিখিয়েছে। মৌলবাদী আক্রমণে দীর্ণ তার মাতৃভূমি তালিবানিদের বিরুদ্ধে সমবেত ভাবে আওয়াজ তুলেছে। তার প্রতিবাদকে সম্মান জানিয়েছে। ছোট্ট মালালা তার দৃঢ়তা দিয়ে নারী অধিকার আন্দোলনের নতুন দিক রচনা করেছে।

মালালা ইউসুফজাই
তালিবানি ফতোয়ার কাছে মাথা নোয়ায়নি পাকিস্তানের এই কিশোরী। সব ভয় অগ্রাহ্য করে নিজের শিক্ষার অধিকারে সোচ্চার হয়েছিল সে। `পুরষ্কার` স্বরূপ মালালার ছোট্ট শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল পাকিস্তানিদের বুলেট। তবুও হার মানেনি মালালা। তার অদম্য জেদের কাছে পরাজিত হয়েছে মৃত্যু। আজ সে সুস্থ। প্রস্তুত স্কুলে যাওয়ার জন্য। বছর ১৫-এর এই মেয়েটি স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে তারই মত লাখ লাখ কিশোরীকে। সাহস যুগিয়েছে। নিজের শিক্ষার অধিকার বুঝে নিতে শিখিয়েছে। মৌলবাদী আক্রমণে দীর্ণ তার মাতৃভূমি তালিবানিদের বিরুদ্ধে সমবেত ভাবে আওয়াজ তুলেছে। তার প্রতিবাদকে সম্মান জানিয়েছে। ছোট্ট মালালা তার দৃঢ়তা দিয়ে নারী অধিকার আন্দোলনের নতুন দিক রচনা করেছে।

15/15

ইরম শর্মিলা চানুএক যুগ ধরে অনশন চালাচ্ছেন শর্মিলা ইরম চানু। দাবি মণিপুর থেকে প্রত্যাহার করতে হবে আফস্পা। শুরুটা হয়েছিল ২০০০ সাল থকে। বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মণিপুরের ১০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণহারায় আসাম রাইফেলের গুলিতে। তার বহু আগে থেকেই অবশ্য বারবার সেনার ধর্ষণ, খুনের শিকার হচ্ছিলেন মণিপুরের মানুষেরা। এই সব কিছুর প্রতিবাদেই আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন মণিপুরের ২৮ বছরের তরুণি শর্মিলা চানু। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১২ বছর। এখনও মণিপুর বহাল আফস্পা। এখনও অনশন চালাচ্ছেন শর্মিলা চানু। জোর করে তাঁকে নাকে নল ঢুকিয়ে খাবার খায়ানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টা করার অপরাধে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু দমানো যায়নি এই লৌহমানবীকে। নিজের দাবিতে এখনও অবিচল তিনি।

ইরম শর্মিলা চানু
এক যুগ ধরে অনশন চালাচ্ছেন শর্মিলা ইরম চানু। দাবি মণিপুর থেকে প্রত্যাহার করতে হবে আফস্পা। শুরুটা হয়েছিল ২০০০ সাল থকে। বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মণিপুরের ১০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণহারায় আসাম রাইফেলের গুলিতে। তার বহু আগে থেকেই অবশ্য বারবার সেনার ধর্ষণ, খুনের শিকার হচ্ছিলেন মণিপুরের মানুষেরা। এই সব কিছুর প্রতিবাদেই আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন মণিপুরের ২৮ বছরের তরুণি শর্মিলা চানু। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১২ বছর। এখনও মণিপুর বহাল আফস্পা। এখনও অনশন চালাচ্ছেন শর্মিলা চানু। জোর করে তাঁকে নাকে নল ঢুকিয়ে খাবার খায়ানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টা করার অপরাধে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু দমানো যায়নি এই লৌহমানবীকে। নিজের দাবিতে এখনও অবিচল তিনি।