1/10
2/10
এলি ও কার্ল
টম বয় এলি স্বপ্ন দেখেছিল। তার ক্লাব হাউসটাকে সে উড়িয়ে নিয়ে যাবে প্যারাডাইস ফলসের কাছে একটা পাহাড়ের চুড়োয়। লাজুক কিশোর কার্ল বন্ধু এলিকে কথা দিয়েছিল সাহায্য করার। বড় হয়ে এলি আর কার্ল বিয়ে করে। সন্তান না হওয়ার যন্ত্রনা তারা ভুলে ছিল প্যারাডাইস ফলসের স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে। টানাটানির মধ্যবিত্ত সংসারে একটু একটু করে টাকা জমিয়ে যতবারই তারা সেই জলপ্রপাতের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছে ততবারই সংসারের বৃহত্তর প্রয়োজনে ফুরিয়ে গেছে সেই জমানো টাকা। কিন্তু ফুরোয়নি তাদের স্বপ্ন। এলি মারা যাওয়ার পর শুধু এলিকে ভালবেসে নিজেদের বাড়িটাকে কার্লের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টার গল্প `আপ`। এই সিনেমার প্রতিটা ছত্রে শুধুই ভালবাসা লুকিয়ে আছে। এলি আর কার্ল-এর গল্প ভালবাসাকে ভালবাসতে শেখায়।
3/10
পপাই আর অলিভ
স্পিনাচ খেকো নাবিকের লাল জামা লম্বু প্রেমিকা। এরপর কি আর কিছু বলার থাকে? কোন আলাদা ইন্ট্রোডাকশনের প্রয়োজন বোধহয় নেই। যে সব বাঙালিরা দাবি করেন শহুরে প্রেমের কিন্তু পপাই আর অলিভেকে চেনেন না, তাদের প্রেমের ইনিটেনসিটি নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রইল। অলিভের সঙ্গে বাঙালি ন্যাগিং রগচটা দাপুটে ন্যাকা প্রেমিকাকুলের পার্থক্য খুঁজে বার করা অনেকটা খড়ের বিশাল গাদা থেকে পুঁচকি ছুঁচ খুঁজে পাওয়ার মতই কঠিন। আর পপাইয়ের সঙ্গে প্রেমিকদের মিলটা কী এরপরেও আলাদা করে বলে দিতে হবে?
4/10
গ্লোরিয়া আর মেলমেন
সুন্দরী জলহস্তীর জিরাফ প্রেমিক?? ভাবছেন এ আবার কী? আপনারা যদি গ্লোরিয়া আর মেলমেন কে চিনতেন তাহলে মোটেও একথা ভাবতেন না। `ম্যাডাগাস্কার` সিনেমায় অ্যালেক্স আর মার্টির বন্ধু তথা অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী এই দুজনের প্রেমটা কিন্তু সিনেমার মূল কাহিনির সঙ্গে বেশ মধুর ভাবেই সমান্তরালে চলেছে। গ্লোরিয়া আর মার্টির ফাটাফাটি জুটি প্রমাণ করেছে প্রেমটা শুধুই `জাস্ট মুভ ইট` করার জিনিস। ঝখন মিঁয়া বিবি রাজি তখন আর সব কিছু সিমপ্লি ঢিঁচকাও করে উড়িয়ে দেওয়ার বস্তু।
5/10
6/10
ব্লু আর জুয়েল
বিলুপ্ত প্রায় নীল ম্যাকাও ব্লু। তার প্রাজাতির শেষ পুরুষ সদস্য সে। প্রজাতিকে বাঁচাতে প্রিয় বন্ধু কাম মালিক লিন্ডার সঙ্গে পারি দেয় ব্রাজিলের রিওতে। সেখানে পক্ষী বিশারদ তুলিওর কাছ এসে তার পরিচয় হয় নিজের প্রজাতির একমাত্র মহিলা সদস্য জুয়েলের সঙ্গে। আর তারপর? বনের পাখি জুয়েলের সঙ্গে খাঁচার পাখি ব্লু-এর প্রাইমারি সাক্ষাতটা বিশেষ মধুর হয়নি। প্রথম দর্শনে জুয়েলকে মন দিয়ে ফেললেও জুয়েল বিশেষ পাত্তা দেয়নি ব্লুকে। তবে ঝগড়া করতে করতেই শেষ পর্যন্ত তাদের প্রেমটা জমেই গেল। ২০০১ সালের ব্লু আর জুয়েলের প্রেম কাহিনি `রিও` সিনেমাটি অ্যানিমেশনের জগতে একটা ক্লাসিক।
7/10
8/10
এরিয়ল ও প্রিন্স ফিলিপ
হ্যান্স ক্রিসচিয়ন অ্যান্ডারসনে `মৎস্য কন্যা` ডিজনির ছোঁয়ায় হয়ে উঠেছিল সমুদ্রের রাজা টাইটনের ষোড়শী কন্যা `লিটল মারমেড` এরিয়ল। এরিয়লের সঙ্গে প্রিন্স এরিকের উথাল পাথাল প্রেম, এরিয়লের জল ছেড়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে এরিকের কাছে যাওয়া, জলের রাক্ষসীর হাত থেকে প্রেমিকাকে বাঁচাতে এরিকের নিজের জীবনের বাজি রাখা, সব মিলিয়ে এই চিরন্তন প্রেম কাহিনির জাস্ট কোন জবাব নেই।
9/10