মৎস্যজীবীদের আটকে মুক্তিপণ দাবি করত জনাব, বসিরহাট থেকে গ্রেফতার সেই বাংলাদেশি জলদস্যু

Aug 24, 2020, 18:45 PM IST
1/5

নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে ধরা পড়ল বাংলাদেশি জলদস্যুর মূলপাণ্ডা জনাব বাইন। দীর্ঘদিন ভারতে নাম ভাড়িয়ে লুকিয়ে ছিল এই বাংলাদেশি জলদস্যু। এখান থেকেই চালাত অপারেশন। অবশেষে বসিরহাট  থানার পুলিস গোপনসূত্রে খবর পেয়ে জনাব বাইনকে বসিরহাটের ধলতিথা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।  

2/5

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জনাব বাইন তাঁর কয়েকজন বাংলাদেশি সাগরেদ-সহ  ভারতের কয়েকজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে "জনাব বাহিনী' নামে একটি গ্যাং তৈরি করেছিল। এই বাহিনী  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবনে এলাকায়  যে সমস্ত মৎস্যজীবিরা মাছ  ধরতে যেতেন, তাঁদের আটকে রেখে তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা মুক্তিপণ আদায় করত।    

3/5

 দু মাস আগে বাংলাদেশ সীমান্তের কালিন্দী নদীতে  সুন্দরবন থেকে মাছ ধরতে যাওয়া মৎসজীবীদের নৌকা আটকে রাখে। এরপর তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণের টাকা হাতে পাওয়ার পর ভারতে এসে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। বাংলাদেশ পুলিস বিষয়টি বসিরহাট পুলিস প্রশাসনকে জানায়। এই খবর পাওয়ার পর বসিরহাটের প্রশাসন সব থানাকে সতর্ক করে।

4/5

সেইমত হেমনগর থানা গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বাংলাদেশের বাসিন্দা ফারুক গাজি এবং হেমনগরের বাসিন্দা ইউসুফ সর্দার নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফাতার করে। তাঁদের জেরা হেমনগর থানা জানতে পারে এই জলদস্যুর মূলপাণ্ডা এবং জনাব বাহিনীর কর্ণধার বসিরহাটে লুকিয়ে আছে। কিন্তু নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়ে থাকার জন্য জনাবকে ধরা সহজ ছিল না পুলিসের। কিন্তু হাল ছাড়েনি বসিরহাট থানার পুলিস।

5/5

রবিবার পুলিস খবর পায় বসিরহাটের ধলতিথা গ্রামে নকল নামে লুকিয়ে আছে জনাব বাইন। সেই রাতে জনাবের গোপন ডেরায় আচমকা হানা দিয়ে গ্রেফতার করে জলদুস্যুর মূলপাণ্ডাকে। এই গ্যাং-এর সঙ্গে জড়িত বাকি দুষ্কৃতী খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।