Maha Kumbh 2025: বিশ্বনাথকে রক্ষা করতে বারাণসীতে আওরঙ্গজেবের সঙ্গে লড়েছিলেন ৪০০০০ নাগা সন্ন্যাসী? আর এই মহাকুম্ভে ১২০০০...

Naga Sadhus in Maha Kumbh Mela 2025: এই মহাকুম্ভে প্রয়াগরাজে নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়ে ঘটবে নানা কিছু। আসুন, তার আগেই জেনে নেওয়া যাক এঁদের গোপন জীবন।

| Jan 15, 2025, 13:12 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। প্রশ্নের শেষ নেই, কৌতূহলের শেষ নেই। গঙ্গাসাগরে বা কুম্ভে একদল মানুষ শুধু নাগা সন্ন্যাসীদের স্টাডি করতেই যান। এবার প্রয়াগরাজেও ছবিটা এক। এই মহাকুম্ভে প্রয়াগরাজে নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়েও ঘটবে নানা কিছু।

1/6

সঙ্গমে নাগা

খুব স্বাভাবিক ভাবেই সুতোও নেই শরীরে। সারা গায়ে ছাই। রুদ্রাক্ষের মালা। কলকের মালা গলায়। কখনও ফুলের মালাও। সারা বছর হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলে থাকেন। তবে এই সময়ে দলে-দলে ভিড় জমান সঙ্গমে। লক্ষ্য অমৃত স্নান।

2/6

১৩টি আখড়া

ভারতে মোট ১৩টি আখড়া নাগাদের। সব মিলিয়ে মোট ১২ হাজার নাগা সন্ন্যাসী এবার কুম্ভমেলায়। এঁদের মধ্যে মূল দুটি ভাগ-- শৈব ও বৈষ্ণব। জৈন দিগম্বর সাধুরাও এই নাগা সাধুদের রীতিনীতি অনুসরণ করেন।

3/6

গঙ্গায় ১০৮ ডুব

এই নাগা ধারার (order) অনেকেই এবার পুরোপুরি নাগাত্বে দীক্ষিত হবেন। দীর্ঘ সময়, বছরের পর বছর তাঁরা নানা কঠোর নিয়মের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। এবার এই কুম্ভমেলায় মৌনী অমাবস্যার রাতে গঙ্গায় ১০৮ ডুব দেওয়ার পরে গুরু তাঁদের শিখা কেটে দেবেন। সঙ্গে হবে সমস্ত পুজো-পাঠ-নিয়ম-কানুন। তাঁরা এদিনই প্রকৃত অর্থে নাগা সন্ন্যাসী হয়ে উঠবেন।

4/6

ত্রেতায় নাগা

এই নাগাদের আদি হলেন গুরু শঙ্করাচার্য! তিনি নাগাদের প্রথম দীক্ষা দিয়েছিলেন বলে ধরা হয়। সেই সুদূর ত্রেতা যুগে নাগাদের উল্লেখ মেলে!

5/6

মুক্তির লক্ষ্যে

কঠোর ভাবে ব্রহ্মচর্য পালন করেন, সঙ্গে থাকে আরও নানা সাধনা। বছরের পর বছর ধরে তপশ্চর্যায় অতিবাহিত করেন এঁরা। এ বিশ্বে জন্ম-মৃত্যুর এই যে অন্তহীন চক্র, তা থেকে পাকাপাকি ভাবে মুক্তির লক্ষ্যে এত কঠোর সাধনা করেন নাগারা!

6/6

বারাণসীতে

নাগা সাধুদের বিষয়ে একটি দারুণ তথ্য মেলে! শোনা যায়, আওরঙ্গজেব দ্বিতীয়বার বারাণসী আক্রমণ করলে কাশী বিশ্বনাথকে রক্ষার মানসে সে সময়ে ৪০ হাজার নাগা সাধু নাকি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন!  (Disclaimer: এখানে যা লেখা হয়েছে তা সবই প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, তত্ত্ব ও তথ্যের ভিত্তিতে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)