1/6
নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার। সেই কারণেই মায়াপুরের ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস (ISCON) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বছর ইসকন রথযাত্রা স্থগিত রেখে একটি রথে তিন বিগ্রহ চাপিয়ে ইসকন মন্দিরে ২০০ মিটার অবধি চলবে রথ। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে, বহু লোকের সমাগম ঠেকাতেই রথযাত্রার অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে এবারও । কিন্তু জগন্নাথের দর্শন যাতে সাধারণ মানুষ পান, তার জন্য নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। এত বছরের প্রথা ভেঙে ইসকনের রথ রাস্তায় না বেরোলেও, রথযাত্রা বাড়ি বসেই দেখতে পেলেন ভক্তরা। এবার একটি রথে তিন বিগহ নিয়ে মাত্র ২০০ মিটার দড়িতে টান দিলেন ইসকনের ভক্তরা। কোভিড বিধি বজায় রাখতে রথের বদলে মোটর গাড়িতে চেপে মাসির বাড়ি পৌঁছালে জগন্নাথ দেব।
2/6
মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের ৫ কিলোমিটার আগে রাজাপুরের জগন্নাথ দেবের মন্দির। জানা যায়, শুভ শক্তির সূচনার জন্য জগন্নাথ দেবকে ওড়িশা থেকে আনেন শবর জাতির মানুষ। তাঁকে রাজাপুরে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তারপর বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল জগন্নাথের আরাধনা৷ পরবর্তীকালে ফটিকচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির হাত ধরে ফের পুজো চালু হয়৷
photos
TRENDING NOW
3/6
১৯৭৯ সালে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ রাজাপুরের জগন্নাথের দায়িত্ব নেয়। সেই থেকে শুরু হয় পুজো। এরপর যতদিন গড়িয়েছে জাঁকজমক বেড়েছে জগন্নাথের আরাধনায়। রথের ঠিক একমাস আগে মায়াপুরে ইসকনে অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথের স্নানযাত্রা। কথিত আছে, স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেব জ্বরে কাবু হয়ে গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। রথের আগে ভক্তরা আর জগন্নাথ দেবের দর্শন পান না।
4/6
5/6
6/6
অন্যান্য বছর বাড়তি রোজগারের আশায় রথের মেলায় পাঁপড় ভাজা, পুতুল ও জিলিপির মতো বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় দোকান তৈরি করে ব্যবসা করেন এলাকার গরিব মানুষজন। এই বছর করোনা বিধিকে রক্ষা করতে গিয়ে সেই দিক থেকেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় গরিব মানুষ জন ও ব্যবসায়ীদের। যার ফলে রথযাত্রার উৎসব পালিত হলেও এই বছর মনে উৎসবের রং স্পর্শ করতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
photos