হ্যাসট্যাগে কাশ্মীর বিতর্ক থাকায় নিষিদ্ধ শতাধিক টুইট্যার অ্যাকাউন্ট

কাশ্মীর সংক্রান্ত কোনও বিতর্কিত বিষয়ে হ্যাসট্যাগ থাকলেই অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে পারে টুইটার সংস্থা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো একটি চিঠির ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মাধ্যম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক গত ২৪ অগাস্ট টুইটারকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, ১১৫টি টুইটার অ্যাকাউন্ট ও টুইট নিষিদ্ধ করতে। যে গুলি 'উস্কানিমূলক' এবং 'বেআইনি' বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সেই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারা অনুযায়ী টুইটগুলো দেশের জনস্বার্থ বিঘ্নিত করেছে। ৪ অগাস্ট গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে ওইসব টুইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নেতাজি হয়ে নিজেই অন্তর্ধান রহস্যের জট খুলতে চেয়েছিলেন!
তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০০০-র ৬৯এ ধারা অনুযায়ী, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌম রক্ষা করতে যে কোনও অপরাধমূলক তথ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কেন্দ্র। অন্যদিকে কাশ্মীর উপত্যাকার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে উস্কানিমূলক প্রচারে ১১৭ জনকে সনাক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ।
আরও পড়ুন- যোগী, রাজ্যটাকে রোগী করে তুলেছেন : সূর্যেওয়ালা
উল্লেখ্য, হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির হত্যা পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে উত্তাল উপত্যকায় বারংবার হিংসা রুখতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে সরকারের তরফে। বর্তমানে দফায় দফায় একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করার মাধ্যমে যখন কাশ্মীর পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে, তখন যাতে নতুন করে 'উস্কানি' না ছড়ায় তা সুনিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের তরফে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।