Supreme Court: 'রাজ্যপালদের ভুলে গেলে চলবে না, তাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন'

 বিরোধীশাসিত পঞ্জাবে রাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন,  'আদালতের কড়া নাড়লেই পদক্ষেপ, আগে নয় কেন'?

Updated By: Nov 6, 2023, 09:03 PM IST
Supreme Court: 'রাজ্যপালদের ভুলে গেলে চলবে না, তাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন'

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরোধীশাসিত পঞ্জাবে রাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। 'রাজ্যপালদের ভুলে গেলে চলবে না, তাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন', পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের।

আরও পড়ুন:  Heeralal Samariya: দেশ পেল নতুন প্রধান তথ্য কমিশনার, প্রথম দলিত অফিসার হিসেবে এই পদে শপথ নিলেন হীরালাল সামারিয়া

রাজ্যের সংবিধানিক প্রধান রাজ্য়পাল। বিধানসভায় যখন কোনও বিল হয়, তখন অনুমোদনের জন্য় সেই বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। এরপর রাজ্যপাল যদি স্বাক্ষর করেন, তাহলে বিল আইনে পরিণত হয়। অভিযোগ, পঞ্জাবে ৭ বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত। কেন? মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

এদিন মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন,  'আদালতের কড়া নাড়লেই পদক্ষেপ, আগে নয় কেন'?

এদিকে বাংলায় রাজ্যপালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভা। এরপর বিধানসভায় বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।  ভোটাভুটিতে সেই বিল পাসও হয়ে যায়।  কিন্তু বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। এমনকী, রাজভবনে আটকে রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ বিলও।

রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, 'রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন, এটা মনে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রত্য়েকেই জানেন। কিন্তু রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠার জোরে এমন কোনও বিল পাস করানো যায় না, যেটা ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবধারার বিরোধী। এখন প্রশ্ন হল, রাজ্যপাল কোন কারণে কী বিলকে, আটকে রেখেছেন, স্বাক্ষর করেননি। পঞ্জাবের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করা তো সম্ভব নয়'।

আরও পড়ুন:  Mohammad Azharuddin: ঘোর বিপাকে আজহারউদ্দিন, তেলঙ্গানা নির্বাচনের আগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের দুর্নীতির মামলা

শমীকের দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গের  সরকার UGC-র নির্দেশাবলীকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে, উপাচার্য নিয়োগ  করবে, আর সেই উপাচার্য নিয়োগটা যখন মহামান্য আদালতই বলে দেবে, এটা অবৈধ। তখন একটা বিল পাস করে, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য বানাবেন। যাতে তাঁদের সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়িত করে দেওয়া যায়। সেকারণে এখানকার রাজ্যপাল সই করেননি'।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.