মস্তিষ্কের জটিল operation-এর সময় গীতার শ্লোক উচ্চারণ মহিলার, শুনলেন চিকিত্সকরা
''আমি এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার অস্ত্রোপচার করেছি। কিন্তু অপারেশন টেবলে শুয়ে এমন শঙ্কাহীন থেকে শ্লোক উচ্চারণ করতে কাউকে দেখিনি।''
নিজস্ব প্রতিবেদন- শ্রদ্ধা থাকলে শঙ্কা থাকে না। এই আপ্তবাক্য যে ষোলো আনা সত্যি তা হাতেনাতে প্রমাণ করে ছাড়লেন ৩৬ বছর বয়সী দয়া ভরতভাই বুধেলিয়া। আহমেদাবাদের এই মহিলা অপারেশন টেবলে শুয়ে গীতার শ্লোক আওড়ালেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাঁর মুখে থেকে ঠিকরে আসা শ্লোক চিকিত্সকদের কানে বাজল। অস্ত্রোপচার সফল হল। তিনদিনের মধ্যে ভরতভাইকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়াও হল। নিউরো সার্জন ডা. কল্পেশ শাহ বললেন, ''আমি এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার অস্ত্রোপচার করেছি। কিন্তু অপারেশন টেবলে শুয়ে এমন শঙ্কাহীন থেকে শ্লোক উচ্চারণ করতে কাউকে দেখিনি। রোগীর মুখ থেকে শ্লোক শুনে আমরাও যেন অনুপ্রেরণা পাচ্ছিলাম। অপারেশন থিয়েটারের বাতাবরণ হালকা হচ্ছিল।''
গত কয়েক মাস ধরেই মাথা যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন ভরতভাই। বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিত্সকরা জানান, তাঁর ব্রেন টিউমার হয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। এমন কথা শোনার পর ভারতভাইয়ের বাড়ির লোক অস্থির হয়ে পড়েন। তবে ভরতভাই জানান, তিনি অস্ত্রোপচারের জন্য তৈরি। তবে অপারেশন টেবলে তাঁকে গীতার শ্লোক উচ্চারণ করতে দিতে হবে। এক ঘণ্টা পনেরো মিনিট চলল অস্ত্রোপচার। প্রায় এক ঘণ্টা গীতার শ্লোক উচ্চারণ করেন ভরতভাই। আসলে অস্ত্রোপচার জটিল ছিল। তাই রোগীর জেগে থাকাটা জরুরি ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিত্সকরা। তাই ভরতভাইকে অজ্ঞান করা হয়নি।
আরও পড়ুন- টিকা এলেও থাকতে হবে সতর্ক, মেনে চলতে হবে সুরক্ষাবিধি: প্রধানমন্ত্রী
অস্ত্রোপচারেরর পর হেঁটে-চলে বাড়ি ফিরেছেন ভরতভাই। তিনি বলেছেন, ''আমি ছোট থেকে মা-বাবার কাছে গীতার শ্লোক শুনে আসছি। যখনই মন অস্থির হয়েছে বা ভয় পেয়েছি, শ্লোক উচ্চারণ করেছি। অপারেশন টেবলে স্নায়ুর উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হত। তাই শ্লোক উচ্চারণ ছাড়া উপায় ছিল না। চিকিত্সকরা আমার সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করেছেন। মন শান্ত রাখতে শ্লোক উচ্চারণ অন্যতম সেরা উপায়। আমি আমার ছেলেকেও এই পরম্পরার মধ্যে বড় করে তুলতে চাই।''