ম্যাডাম রোজভ্যালিকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, টাকা পাচারে জড়িত নাকি ইডির অফিসারই?

রোজভ্যালির কালো টাকা পাচারে সাহায্য করছেন খোদ ইডির অফিসার? এমন অভিযোগই জোরাল ভাবে সামনে আসছে। ED অফিসার মনোজ কুমার। গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে আটঘাঁট ভেঙে তিনি টাকা পাচার করেন বলে অভিযোগ। 

Updated By: Jan 30, 2017, 11:22 PM IST
ম্যাডাম রোজভ্যালিকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, টাকা পাচারে জড়িত নাকি ইডির অফিসারই?

ওয়েব ডেস্ক: রোজভ্যালির কালো টাকা পাচারে সাহায্য করছেন খোদ ইডির অফিসার? এমন অভিযোগই জোরাল ভাবে সামনে আসছে। ED অফিসার মনোজ কুমার। গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে আটঘাঁট ভেঙে তিনি টাকা পাচার করেন বলে অভিযোগ। 

CCTV ফুটেজ। কলকাতা বিমানবন্দরের ছবি। দিল্লি যাচ্ছেন ED অফিসার মনোজ কুমার। সঙ্গে কে? দিল্লির হোটেলে চেক ইন। দেখা হয়ে গেল এক পরিচিতের সঙ্গে। কার সঙ্গে হোটেলে উঠছেন ED অফিসার? উত্তরের খোঁজ পেতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে একমাস। 

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর, ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার বাতিল নোট সমেত ধরা পড়ে ৩ জন। প্রদীপ রায়, সঞ্জীব ঘোষ আর অরূপ সিং। ধৃতদের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতরা জানাল তারা এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। এই টাকার উত্‍স্য তারা জানাতে পারেনি। তদন্তে বোঝা যায় সংস্থাটি ভুয়ো। সংস্থার অফিসে উদ্ধার হয় বেশ কিছু কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ফাইল।  

তথ্য ঘেঁটে জানা যায়, কোনও একজনের টাকা, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাচার হচ্ছিল। ২টি ফোল্ডারের সন্ধান মেলে। একটি ফোল্ডার রোজভ্যালির নামে। অন্যটি ম্যাডাম রোজভ্যালির নামে। 

কে এই ম্যাডাম রোজভ্যালি? শুরু হয় তদন্ত। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ম্যাডাম আর কেউ নন। খোদ সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডু। এবার শুভ্রা কুণ্ডুর গতিবিধির ওপর নজর রাখতেই নতুন ক্লু। শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে বিমাবন্দরে, দিল্লির হোটেলের লবিতে দেখা যাচ্ছে ED কর্তাকে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, নোট বাতিলের পর গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডু প্রায় ১৫ কোটি টাকা পাচার করেন। জানা গেছে, ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মনোজ কুমারের সঙ্গে শুভ্রা কুণ্ডুর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দুজনের মধ্যে একাধিক ফোনকল, হোয়াটস অ্যাপ ও SMS বিনিময়ের প্রমাণ মিলেছে। এমনকি দুজনে একসঙ্গে দিল্লি বেড়াতে গিয়ে একই রুমে ওঠেন। তবে কি ED অফিসার খোদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত?

 

যদিও ED কর্তার দাবি, রোজভ্যালি ও সারদা কাণ্ডের তদন্তে সক্রিয় থাকায়, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক তদন্তে প্রভাব ফেলেনি বলেও দাবি ED কর্তার।

.