গত দশকের থেকে ৫% কম, নয়া সেনসাস রিপোর্টে মুসলিমদের বৃদ্ধির হার ২৪%
ধর্মভিত্তিক আদমসুমারি অনুযায়ী ২০০১ থেকে ২০১১ সাল অবধি এদেশে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে ২৪%। যদিও ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ছিল ২৯%। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫% হ্রাস পেয়েছে। এই ১০ বছরের সময়ক্রমে কম্যুনিটি শেয়ারের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি ১৩.৪% থেকে বেড়ে ১৪.২% হয়েছে।
নয়া দিল্লি: ধর্মভিত্তিক আদমসুমারি অনুযায়ী ২০০১ থেকে ২০১১ সাল অবধি এদেশে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে ২৪%। যদিও ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ছিল ২৯%। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫% হ্রাস পেয়েছে। এই ১০ বছরের সময়ক্রমে কম্যুনিটি শেয়ারের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি ১৩.৪% থেকে বেড়ে ১৪.২% হয়েছে।
২০০১-২০১১, এই দশবছরে মুসলিম জনসংখ্যা আগের ১০ বছরের তুলনায় হ্রাস পেলেও জাতীয় স্তরে মোট সংখ্যার ১৮% মুসলিম জনসংখ্যার তুলনায় এই বৃদ্ধির হার বেশি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া অনুযায়ী এই ধর্মভিত্তিক আদমসুমারির ডেটাতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে আসামে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বাধিক। ২০০১ সালে যেখানে এই রাজ্যের ৩০.৯% মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছিলেন ২০১১ সালের শেষের দিকে এসে দেখা গেছে এই সংখ্যাটি ৩৪.২% হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লাগাতার অনুপ্রবেশ এই তারতম্যের অন্যতম কারণ বলে অনেকে মনে করছেন।
পশ্চিমবঙ্গেও ২২০১ সালে মোট জনসংখ্যার ২৫.২% থেকে ২০১১ সালে বেড়ে হয়েছে ২৭%। অর্থাৎ ১০ বছরে বৃদ্ধির হার এই রাজ্যে ১.৯%।
উত্তরখণ্ড, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা অনান্য রাজ্যের থেকে তুলনামূলক কম এই ডেটা অনুযায়ী সেখানেও বৃদ্ধির হার ২%।
কেরালা, গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়াণা ও দিল্লিতেও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। ২০০১ থেকে ২০১১-এর মধ্যে সারা দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে .৮%।
রাজ্যগুলির মধ্যে এক মাত্র মণিপুরে কমেছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা।
গতবছর মার্চে এই ধর্মভিত্তিক আদম সুমারির রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও ইউপিএ সরকার জনসমক্ষে তা প্রকাশ করেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি সপ্তাহেই এই ডেটা প্রকাশের সবুজ সংকেত দিয়েছেন। যদিও সরকারি স্তরে এখনও তা প্রকাশ পায়নি।