৪৬ বছরে এমন বৃষ্টি দেখেনি মুম্বই! হাওয়ায় পড়ে গেল ১১০ কোটি টাকার ক্রেন
বুধবার ১০৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে হাওয়া বয়েছে ওই এলাকায়। সঙ্গে সারাদিন মুষলধারায় বৃষ্টি। যা জেরে নগরজীবনে পুরোপুরি বিধ্বস্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা মুম্বইয়ের। একে তো করোনার দাপটে ঘরবন্দি মুম্বইয়ের জনজীবন। গোটা দেশে সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। তার মধ্যে প্রবল বৃষ্টি যেন মুম্বই প্রশাসনকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এমনিতই মুম্বইয়ের বৃষ্টি কুখ্যাত। তবে এবার যেন বৃষ্টির দাপট বাড়াবাড়ি রকমের। আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবা এলাকায় এবার যা বৃষ্টি হয়েছে তা গত ৪৬ বছরে হয়নি। বুধবার ১০৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে হাওয়া বয়েছে ওই এলাকায়। সঙ্গে সারাদিন মুষলধারায় বৃষ্টি। যা জেরে নগরজীবনে পুরোপুরি বিধ্বস্ত। অনেকেরই বাড়িতে হু হু করে জল ঢুকেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমেছে। তবে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। শহর ও শহরতলির ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। বাস পরিষেবাও বৃষ্টির জন্য বিপর্যস্ত। জানা গিয়েছে, বুধবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে কোলাবা এলাকায়। গত ৪৬ বছরে একদিনে বৃষ্টির সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। এমনিতেই করোনার প্রকোপে মুম্বইয়ে অনেক অফিস বন্ধ। তবে বৃষ্টির জেরে এবার জরুরি পরিষেবাও স্তব্ধ। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরো বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। প্রয়োজন ছাড়া মুম্বইবাসীদের বাড়ি থেকে না বেরনোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে। বুধবার কোলাবা এলাকায় সারাদিনে ৩৩১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭৪ সালের অগাস্ট মাসে শেষবার একদিনে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছিল মুম্বইতে।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরের আরও এক বিজেপি নেতাকে খুন করল জঙ্গিরা, ৪৮ ঘণ্টায় দ্বিতীয় হামলা
বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট ছিল সারাদিন। মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভসহ বেশ কিছু এলাকায় বড় গাছ উপড়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জওহরললাল নেহেরু পোর্ট ট্রাস্টে তিনটি বিশালাকার ক্রেন হাওয়ায় দাপটে পড়ে গিয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে ১১০ কোটি টাকার ক্রেন আছাড় খাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। বাণিজ্য নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। মুম্বইসহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কোলাবা, নরিম্যান পয়েন্ট, মরিন ড্রাইভ এলাকায় সব থেকে বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই এলাকায় বহু বাড়ি জলের তলায়। রেললাইন জলের নিচে। বহু জায়গায় গাছের নিচে চাপা পড়েছে প্রাইভেট গাড়ি।