নেপালে রাজনৈতিক স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজন, সফর শেষে টুইট মোদীর

নেপালে রাজনৈতিক স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। কাঠমাণ্ডু থেকে দেশে ফেরার পর টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু দিনের সফরে তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ও প্রেসিডেন্টের রামবরণ যাদবের সঙ্গে বৈঠক। কথা বলেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল-এর মাওবাদী প্রধান প্রচণ্ডের সঙ্গেও। ভাষণ দেন নেপালের জাতীয় সংসদেও।

Updated By: Aug 5, 2014, 09:41 AM IST
নেপালে রাজনৈতিক স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজন, সফর শেষে টুইট মোদীর

ব্যুরো রিপোর্ট: নেপালে রাজনৈতিক স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। কাঠমাণ্ডু থেকে দেশে ফেরার পর টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু দিনের সফরে তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ও প্রেসিডেন্টের রামবরণ যাদবের সঙ্গে বৈঠক। কথা বলেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল-এর মাওবাদী প্রধান প্রচণ্ডের সঙ্গেও। ভাষণ দেন নেপালের জাতীয় সংসদেও।

পশুপথিনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদে ভাষণ। কোনও কিছুই বাদ ছিল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দু দিনের নেপাল সফরে। সোমবারই দেশে ফিরেছেন তিনি। ফেরার পরই টুইট করে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, তাঁর এই সফর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায় খুলে দিল। তাঁর মতে নেপালে প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রতিভার অভাব নেই। তাই নেপালের সামগ্রিক উন্নতিতে অংশীদার হতে চায় ভারত।

সোমবার সকালে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নরেন্দ্র মোদী হাজির হন পশুপথিনাথ মন্দিরে। প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট সেখানে ছিলেন। পুজো দিয়ে আশীর্বাদও নিলেন। দান করলেন আড়াই হাজার কেজি চন্দন কাঠ। মন্দিরের সামনে একটি ধর্মশালা তৈরির জন্য পঁচিশ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথাও ঘোষণা করেন মোদী। মন্দির দর্শন ছাড়াও বৈঠক করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রামবরণ যাদবের সঙ্গে। তিনি বলেন, রবিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ মন জয় করেছে সমগ্র নেপালবাসীর। প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর যথেষ্টই উত্‍ফুল্ল ছিলেন। জল বিদ্যুত্‍ প্রকল্প, বাণিজ্য, শিল্প ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেপাল সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মোদী। এছাড়া ভারত থেকে যাতে হিমালয় রাষ্ট্রে পেট্রোল ও ডিজেল পৌছতে পারে, তার জন্য দুশো কোটি টাকা ব্যয়ে বিহারের মোতিহারি থেকে নেপাল পর্যন্তএকাশি
কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এর পাশাপাশি বৈঠক করেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল মাওইস্টের প্রধান প্রচণ্ডের সঙ্গে।

প্রায় সতেরো বছর পর নেপাল সফরে গিয়েছিলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই আপ্যায়নের মাত্রাটাও ছিল একটি বেশী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছিলেন মোদী। প্রথমে ভূটান। তারপর নেপাল সফর। সর্বত্রই সাবলীল ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

 

.