অ্যাপে খাবার চাই! সিবিআই হেফাজতে থাকা কার্তির আর্তি
সিবিআই আধিকারিকদের সামনেই কার্তি চিদাম্বরম তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে তামিল ভাষায় কথা বলছেন। ফলে, রীতিমতো তাঁদের কথাবার্তা বুঝতে সমস্যায় পড়েন আধিকারিকরা। এছাড়াও তদন্তের স্বার্থে তাঁকে জেরা করা হলে, নানা ভাবে সেই কথা এড়িয়ে যাচ্ছেন কার্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদন : আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কার্তি চিদাম্বরমকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে সিবিআই-এর। তিনি তদন্তে সহযোগীতা করছেন না বলেও অভিযোগ তুলেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এমনকী, সিবিআই হেফাজতে বাড়ির খাবার নিয়েও দেখা দেয় সমস্যা। কার্তিকে বাড়ির খাবার দেওয়ার আর্জি আদালত খারিজ করার পর, তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে কার্তি অ্যাপে খাবার অর্ডার করার দাবি জানান। যদিও, অ্যাপের খাবার দেওয়া সম্ভব নয় বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেয় সিবিআই।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় বাম বধের ১০ অস্ত্র
এখানেই শেষ নয়, সিবিআই আধিকারিকদের সামনেই কার্তি চিদাম্বরম তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে তামিল ভাষায় কথা বলছেন। ফলে, রীতিমতো তাঁদের কথাবার্তা বুঝতে সমস্যায় পড়েন আধিকারিকরা। এছাড়াও তদন্তের স্বার্থে তাঁকে জেরা করা হলে, নানা ভাবে সেই কথা এড়িয়ে যাচ্ছেন কার্তি।
আরও পড়ুন- ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলের সঙ্গে প্রেম, মেয়ের গলায় বিষ ঢেলে খুন বাবা-মায়ের
২০০৭ সালে এফআইপিবি-র ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়ার কাছ থেকে ৩.৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। সেই সময় সংস্থাটির মালিকানা ছিল পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জির হাতে। আদালতে সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, শুধু আইএনএক্স মিডিয়াই নয়, আরও কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও মোটা টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে কার্তির। এই মামলায় কার্তি চিদাম্বরমের বাবা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের নাম উঠলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কেন এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি সিবিআই, উঠছে সে প্রশ্নও।
আরও পড়ুন- উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে কাঁটায় কাঁটায় লড়াই বিজেপির
সিবিআই ২০১৭ সালে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এরপর দু'বার সিবিআই ও ইডির জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অবশেষে বুধবার চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।