AUSTRAHIND-23: অস্ট্রেলিয়া পাড়ি ভারতীয় সেনার, পার্থে হবে অস্ট্রাহিন্দ-২৩
ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন আধিকারিক এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর ২০ জন কর্মীও ভারতীয় পক্ষ থেকে অংশ নেবেন। অস্ট্রেলিয়ান দলে রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভি এবং রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের ২০ জন করে কর্মী অন্তর্ভুক্ত থাকবে।



জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৮১ জন কর্মী নিয়ে গঠিত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দলটি যৌথ সামরিক মহড়া অস্ট্রাহিন্ড-২৩-এর দ্বিতীয় সংস্করণে অংশ নিতে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। অনুশীলনটি ২২ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় সেনা দলে গোর্খা রাইফেলসের একটি ব্যাটালিয়নের ৬০ জন সদস্য রয়েছেন। ১৩তম ব্রিগেড থেকে ৬০ জন কর্মী নিয়ে গঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনীর দল।
ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন আধিকারিক এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর ২০ জন কর্মীও ভারতীয় পক্ষ থেকে অংশ নেবেন। অস্ট্রেলিয়ান দলে রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভি এবং রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের ২০ জন করে কর্মী অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অনুশীলন AUSTRAHIND ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রথম সংস্করণ রাজস্থানের মহাজনে পরিচালিত হয়েছিল। এটি একটি বার্ষিক প্রশিক্ষণ ইভেন্ট হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে। এটি একবার ভারতে এবং অন্যবার অস্ট্রেলিয়ায় হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই মহড়ার উদ্দেশ্য হল সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং দুই দেশের মধ্যে সেরা অনুশীলনগুলি ভাগ করা। শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে জাতিসংঘের অধ্যায় সাত-এর অধীনে শহুরে এবং আধা-শহুরে ভূখণ্ডে মাল্টি-ডোমেন অপারেশন করার সময় অনুশীলনটি পারস্পরিক ক্রিয়াকলাপ প্রচার করবে।
যৌথ মহড়াটি ভাবনার আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করবে এবং কৌশলগত অপারেশন পরিচালনার জন্য যৌথভাবে কৌশল এবং পদ্ধতির মহড়া দেবে। প্রশিক্ষণের পাঠ্যক্রমের মধ্যে রয়েছে স্নাইপার ফায়ারিং, এবং যৌথভাবে অপারেটিং নজরদারি যাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে পরিস্থিতিগত সচেতনতা অর্জন করা যায়। কোম্পানি/ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কৌশলগত পদক্ষেপের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ব্যবস্থাপনা এবং ইভ্যাকুয়েশন মহড়াও করা হবে।
এই মহড়া দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে এবং দুই বন্ধু দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করতেও সাহায্য করবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)