ভারত-পাক বহু প্রতীক্ষিত সরলীকরণ ভিসা চুক্তি সাক্ষরিত

দু'দেশের সীমান্তের কাঁটাতারের বাঁধনটা কিছুটা আলগা হল। শনিবার ভারত-পাকিস্তান বহু প্রতীক্ষিত সরলীকরণ ভিসা চুক্তি সাক্ষরিত হল। দু'দেশে ভিসা ব্যবস্থায় বেশ কিছু জটিল পদ্ধতির জন্য সীমান্তের বেড়াজাল টপকাতে সাধারণ মানুষদের অনেক ঝক্কি সামলাতে হত। এদিনের এই পর তার ঐতিহাসিক ভিসা চুক্তির পর যা অনেকটাই সহজতর হল।

Updated By: Sep 8, 2012, 09:56 AM IST

দু'দেশের সীমান্তের কাঁটাতারের বাঁধনটা কিছুটা আলগা হল। শনিবার ভারত-পাকিস্তান বহু প্রতীক্ষিত সরলীকরণ ভিসা চুক্তি সাক্ষরিত হল। দু'দেশে ভিসা ব্যবস্থায় বেশ কিছু জটিল পদ্ধতির জন্য সীমান্তের বেড়াজাল টপকাতে সাধারণ মানুষদের অনেক ঝক্কি সামলাতে হত। এদিনের এই পর তার ঐতিহাসিক ভিসা চুক্তির পর যা অনেকটাই সহজতর হল। বিদেশ মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার ইসলামাবাদ সফরের দ্বিতীয় দিনে এই চুক্তি সাক্ষরিত হল।
শনিবার এস এম কৃষ্ণা পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের সাথে বৈঠকে বসেন। ভিসা ব্যবস্থার সরলীকরণের সঙ্গেই মুম্বই সন্ত্রাস, সীমান্ত সমস্যা, বাণিজ্য সহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয় গুলি নিয়েও দুই বিদেশমন্ত্রীর কথা হল বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে ।
দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের আগে, শুক্রবার আলোচনায় বসেছিলেন দু'দেশের বিদেশসচিবরা। সন্ত্রাস, মুম্বই হামলা, বাণিজ্য, জলবন্টন, কাশ্মীরসহ একাধিক ইস্যুতে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। এই আলোচনাতে মূলত দু'দেশের মধ্যে ভিসা ব্যবস্থার সরলীকরণ সংক্রান্ত বিষয়টি উঠে আসে। সব বয়সের মানুষের জন্যই ভিসা ব্যবস্থা শিথিল করার প্রস্তাবেও সম্মতি জানিয়েছেন দুই পক্ষ। ব্যাবসায়ীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় সহ নয়া ভিসা নীতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে সহযোগী হবে বলে দু`দেশের বিদেশ মন্ত্রকই অনুমান করছেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার পাকিস্তানের মাটিতে নেমে এম এস কৃষ্ণা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ভারত কোন আপোষেই যাবে না বলে জানিয়েছিলেন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রীর সেই কড়া বার্তার পরে পাকিস্তান তরফ থেকে মুখ খোলেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণমন্ত্রী রেহমান মালিক। সন্ত্রাস মোকাবিলায় ইসলামাবাদ নয়া দিল্লির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি। পাকিস্তানে মুম্বাই হামলার বিচারও ঠিক পথে এগোচ্ছে বলেও দাবি করেন মালিক। যদিও প্রায় চার বছর কেটে যাওয়ার পরেও মুম্বাই হামলা সংক্রান্ত মামলায় সামগ্রিক ভাবে কোন অগ্রগতি দেখায়নি পাকিস্তান। এদিনেও সন্ত্রাস মোকাবিলায় সক্রিয় হওয়ার আশ্বাস দিলেও হাফিজ সঈদ বা জাকিউ রহমান লকভির মত লস্কর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়েও স্পষ্ট কোন ইঙ্গিত তাঁর বক্তব্যে। তবে সরবজিত সিং এর মুক্তির বিষয়টি পাকিস্তান দ্রুত এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখবে বলে আশ্বাস মিলেছে পাক অভ্যন্তরীণমন্ত্রীর গলায়।

.