Khera Garba Controversy: গরবা অনুষ্ঠানে ঢোকায় মুসলিম যুবকদের মারধর! মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারা হচ্ছে কিছু মানুষকে। তাদের ঘিরে থাকা জনতা উত্তেজিত হয়ে মারার ইন্ধন জোগাচ্ছে। অথচ যাদের এই নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন সেই পুলিসের দিকেই অভিযোগের তীর। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ঘেরি জেলায়। গরবা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেছিল কয়েকজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তারপরই এই অসামাজিক কাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হঠাৎ এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যাচ্ছে সাদা পোশাকে পুলিস বেশ কয়েকজন মুসলিম যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারছে। অথচ তা দেখে পথচলতি বা দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের মধ্যে একটুকু সহানুভূতি নেই। বরং তারা মজাই পাচ্ছে। আর তা দেখেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। অনেকেই এই সংখ্যালঘু মানুষের উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবার পশ্চিম গুজরাটের খেরা জেলায় এই ভিডিও ক্লিপটি রেকর্ড করা হয়েছে এবং এর পরই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সিভিল পোশাক পরা একদল পুলিস অন্তত চার-পাঁচজন ব্যক্তিকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখেছে এবং লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে চলেছে। তাদের মধ্যে একজন পিস্তল নিয়ে ঘুরছে, যা ভারতের পুলিসদের জন্য একটি সাধারণ অভ্যাসও বটে।
আরও পড়ুন, শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং, জ্ঞানব্যাপী মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুক্রবার
Location: Kheda, Gujarat
Muslims flogged publicly!
In BJP ruled Gujarat, nine Muslim men who were allegedly arrested for throwing stones at a Garba event were tied to a pole and publicly flogged with a cane by the Police while the crowd chanted “Hail Mother India” slogans. pic.twitter.com/nDNPJ5heUW
— HindutvaWatch (@HindutvaWatchIn) October 4, 2022
এমনকী উত্তেজিত জনতা 'মারো, মারো' বা 'তাদের মেরে ফেলো' বলে চিৎকার করতে থাকে। এরপরই ক্ষমা চাইতে দেখা যায় ওই লোকগুলিকে। ইউনিফর্ম পরা একদল পুলিস ভ্যানের কাছে দাঁড়িয়েও রয়েছেন। সোমবার উন্ঢেলা গ্রামে একটি গরবা অনুষ্ঠানে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পাথর ছোঁড়ার পরই এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওই কয়েকজন মুসলিম যুবক গরবা অনুষ্ঠানে এসে সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করে। প্রসঙ্গত, গরবা হল গুজরাটের একটি ঐতিহ্যবাহী নাচ যা হিন্দুরা দেবী দুর্গার মহিসাসুরের বিরুদ্ধে বিজয় উদয়াপনের জন্য নয় দিনের নবরাত্রি উৎসবে পরিবেশিত হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। তাই অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস মানবাধিকার কমিশন অভিযোগ দায়ের করে। গুজরাটের আইজি আশিস ভাটিয়া গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিস অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং ঘটনাটি ঘটার সময় যারা ভিডিও করেছিল তাদেরও এই তদন্তের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনা নিয়ে ট্যুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। তিনি লেখেন, "উত্তরপ্রদেশ, আসামের পর এবার গুজরাত। রাজ্য পুলিস নিজেরাই বিচারক এবং জল্লাদ হয়ে যাচ্ছে। পুলিসই যদি এমন কাজ করে তাহলে বুঝতে হবে ভারত ক্রমশ সভ্য, আধুনিক রাষ্ট্র থেকে রূপান্তরের দিকে এগিয়ে চলেছে।"
In UP, Assam and now in Gujarat, the state police has become Judge, Jury and Hangman
First, bulldozing.
Now, flogging.
All that remains is hanging. When the police does that, India will complete its transformation into a civilised modern state— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) October 6, 2022
প্রাক্তন রাজনীতিক এবং মুসলিম ভাষ্যকার শাহিদ সিদ্দিকি বলেছেন, পুলিস অভিয়ুক্ত মুসলিমদের মারধর করছে এবং তা দেখে সাধারণ মানুষ উল্লাসে মেতেছে, যা 'ভয়ঙ্কর এবং লজ্জাজনক'।
আরও পড়ুন, Nobel Prize 2022: হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে জেলে, এবার নোবেল জয়ের দৌড়ে অল্ট নিউজের জুবায়ের-প্রতীক!