ফের বৈঠকে ডাক, নয়া আইনে কৃষকদের লাভ ৪ পয়েন্টে ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী
নয়া কৃষি আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠক ভেঙে যাওয়ার পর কৃষকদের ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। বৃহস্পতিবার তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্য এক ভাষণে নয়া কৃষি আইনের একাধিক ফয়দার কথা তুলে ধরেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়া কৃষি আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠক ভেঙে যাওয়ার পর কৃষকদের ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। বৃহস্পতিবার তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্য এক ভাষণে নয়া কৃষি আইনের একাধিক ফয়দার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন-নৌটঙ্কি করছে যাতে ন্যাশনাল নিউজে দেখায়, দেখো আমায় মেরেছে, আহারে!: মমতা
Any law cannot be entirely defective. Government is ready to discuss the provisions that may adversely affect the farmers: Union Agriculture Minister Narendra Singh Tomar on being asked if #FarmLaws will be repealed pic.twitter.com/poXurJtmYG
— ANI (@ANI) December 10, 2020
মঙ্গলবারই অমিত শাহর সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকে বোঝা গিয়েছিল সরকার কৃষকদের দাবি মানতে রাজী নয়। বুধবার কৃষি আইন নিয়ে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয় কৃষকদের। এদিন দিল্লির উপকন্ঠে সিংঘু সীমান্তে বৈঠক করে সরকারের সেইসব প্রস্তাব খারিজ করে দেন কৃষক নেতারা। এর পরই বৃহস্পতিবার কৃষি আইনে কৃষকদের একাধিক লাভের কথা ব্যাখ্যা করলেন তোমর।
তোমর জানান
সরকার চাইছিল কৃষকরা কিষান মান্ডির ফাঁস থেকে বেরিয়ে আসুক। নতুন আইন অনুযায়ী কৃষকরা যে কোনও জায়গায় তাদের ফসল বেচতে পারবেন। দাম ঠিক করতে পারবেন নিজেরাই।
কৃষকরা চেয়েছে নয়া ৩ কৃষি আইন বাতিল করতে। আমরা আলোচনা করে বুঝতে চাই কোন খানে নয়া কৃষি আইনে কৃষকদের আপত্তি। নতুন আইনে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ওপরে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে পুঁজিপতিদের হাতে কৃষকদের জমি চলে যাবে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কর্ণাটক, হরিয়ানার মতো রাজ্যে বহুদিন ধরেই কনট্রাক্ট ফার্মিং চলে আসছে। তার পরেও নতুন আইনে বলা হয়েছে, কৃষকদের জমি লিজ নিয়ে কেউ চাষ করতে পারবে না। তাহলে কর্পোরেটদের জমি দখলের প্রশ্ন আসে কোথা থেকে!
আরও পড়ুন-'BJP-র টাকা খেয়ে শুভেন্দুর দাদার অনুগামী কাটআউট তৈরি করছে CPIM', বিক্ষোভ TMC-র
কৃষকদের ফসলের সহায়কমূল্য দেওয়ার নিয়ে স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ এতদিন বাস্তবায়ন হয়নি। মোদী সরকারের আমলে তা হয়েছে। কৃষকরা তাদের খরচের দেড় গুণ ফসলের দাম পাবেন। আবার বলছি, ফসলের ন্যূন্যতম সহায়ক মূল্যের ওপরে কোনও ভাবেই হাত দেওয়া হবে না।
কৃষকদের কাছে আবেদন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাইলে বৈঠকে বসুন। সরকারের কোনও ইগো নেই। আমরা কথা বলতে তৈরি।