চলতি অর্থবর্ষে কমবে অর্থনৈতিক বিকাশের হার: সমীক্ষা
টানা চার বছর বাড়ার পর এ বার কমছে বৃদ্ধির হার। বলছে আর্থিক সমীক্ষা। চলতি অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বিকাশ হার ৭.১ শতাংশে নেমে যাবে বলে পূর্বাভাস। নোট বাতিলের পর অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়ায় সে জন্য সঠিক সরকারি নীতি গ্রহণের ওপর আর্থিক সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজেটে আয়করে ছাড় এবং সকলের জন্য আয় প্রকল্পের প্রস্তাব থাকতে পারে।
ব্যুরো: টানা চার বছর বাড়ার পর এ বার কমছে বৃদ্ধির হার। বলছে আর্থিক সমীক্ষা। চলতি অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বিকাশ হার ৭.১ শতাংশে নেমে যাবে বলে পূর্বাভাস। নোট বাতিলের পর অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়ায় সে জন্য সঠিক সরকারি নীতি গ্রহণের ওপর আর্থিক সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজেটে আয়করে ছাড় এবং সকলের জন্য আয় প্রকল্পের প্রস্তাব থাকতে পারে।
মঙ্গলবার বাজেটের আগের দিন লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সমীক্ষা বলছে, চলতি অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বিকাশ হার ৭.১ শতাংশে নেমে যাবে। যা গত চার বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম। আগামী আর্থিক বছরে বৃদ্ধির হার ৬.৭৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মত নোট বাতিলের জেরে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমবে। আর্থিক বছরের শেষে তা ৭.১ শতাংশেরও নীচে নেমে যেতে পারে। নোট বাতিলের প্রভাব আগামী আর্থিক বছরেও পড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নোট বাতিলের জেরে স্বল্প মেয়াদে কিছু সমস্যা হলেও দীর্ঘ মেয়াদে দেশের লাভ হবে। এপ্রিল মাস থেকে বাজারে নগদের যোগান নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না বলেও পূর্বাভাস আর্থিক সমীক্ষায়। তবে নোট বাতিলের পর অর্থনীতির হাল ফেরাতে সরকারকে একাধিক পদক্ষেপ করতে হবে বলে মনে করছেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। সমীক্ষায় বলা হয়েছে,
চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত নগদের যোগান, কর সংস্কার, পণ্য ও পরিষেবা কর চালু, করের হার ও স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোর ওপর আর্থিক সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। গরিবি হঠাতে গরিবদের জন্য ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার কথাও বলছে আর্থিক সমীক্ষা।
ফলে, মনে করা হচ্ছে, বাজেটে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা সবার জন্য ন্যূনতম আয়ের কথা বলতে পারেন অর্থমন্ত্রী। বলা হতে পারে আর্থিক অবস্থা বিচার করে মাস পয়লায় ব্যাঙ্কে জমা পড়বে টাকা। ২০১৯-এর আগে চালু হতে পারে সবার জন্য ন্যূনতম আয় প্রকল্প।
আয়কর, কর্পোরেট করের হার কমানোর সঙ্গেই আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় আনার কথা সমীক্ষায় বলা হয়েছে। যা কৃষি থেকে আয়ের ওপর কর বসানোর ইঙ্গিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষে শিল্প বিকাশের হার কম হলেও কৃষির বিকাশ হার গত অর্থবর্ষের তুলনায় বেশি হবে বলে সমীক্ষায় আশা করা হয়েছে। প্রথা ভেঙে এ বার আর্থিক সমীক্ষায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতামত জায়গা পেয়েছে বলে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন।