প্রকাশ্যে এল কর্ণাটক কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিধায়ক আনন্দ সিংয়ের
সরকার বাঁচাতে কংগ্রেসের ৮০ বিধায়কের ৭৬ জনকে রাখা হয়েছে ঈগলটন রিসর্টে। সেখানেই আনন্দ সিংকে মারধর করা হয় বলে দাবি তাঁর

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্যে চলে এল কর্ণাটক কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িড়ে পড়ার অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস বিধায়ক আনন্দ সিংয়ের অভিযোগ, হোটেলে থাকাকালীন শনিবার রাতে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন কংগ্রেস বিধায়ক জেএন গণেশ। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন আনন্দ সিং।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্ণাটকের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের নেতৃত্বে কংগ্রেস কমিটি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিধায়ক জেএন গণেশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিসের কাছে আনন্দ সিং অভিযোগ করেছেন, তাঁকে লাঠি পেটা করা হয়। দেওয়ালে মাথা ঠুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আনন্দের আরও অভিযোগ, তাঁর পরিবারের স্ত্রী, সন্তান ও বোনকে খুন করার হুঁশিয়ারি দেন জে এন গণেশ।
আরও পড়ুন- পালিয়ে বিয়ে করতে চাইলে এবার সাহায্য করবে পুলিশ!
সরকার বাঁচাতে কংগ্রেসের ৮০ বিধায়কের ৭৬ জনকে রাখা হয়েছে ঈগলটন রিসর্টে। সেখানেই আনন্দ সিংকে মারধর করা হয় বলে দাবি তাঁর। নির্বাচনের সময় জেএন গণেশকে সাহায্য করা হয়নি, এই অভিযোগ এনে তাঁর উপর হামলা করা হয় বলে দাবি আনন্দের। যদিও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গণেশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রবীণ নেতা ডিকে শিবকুমার। বেশ কিছু নেতা যুক্তি দেন, মেঝেতে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান আনন্দ সিং। যদিও, জেএন গণেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আনন্দ সিং। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের সরকার ভাঙতে বিজেপি উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। তার জেরে কংগ্রেসের সব বিধায়ককে এককাট্টা করে রিসর্টে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। এরপরও ২ কংগ্রেস বিধায়কের ‘নিখোঁজ’ বলে জানা যাচ্ছে।