উপরাষ্ট্রপতি ভোটে ফের হামিদ আনসারিকেই প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস
উপ-রাষ্ট্রপতি পদে হামিদ আনসারিকেই প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট। গতকালই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জনতা দল (সেকুলার)র নেতা এস ডি দেবেগৌড়ার। সূত্রে খবর, উপ-রাষ্ট্রপতি পদে হামিদ আনসারিকে প্রার্থী করার বিষয়ে দু`জনের কথা হয়েছে।
উপ-রাষ্ট্রপতি পদে হামিদ আনসারিকেই প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট। গতকালই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জনতা দল (সেকুলার)র নেতা এস ডি দেবেগৌড়ার। সূত্রে খবর, উপ-রাষ্ট্রপতি পদে হামিদ আনসারিকে প্রার্থী করার বিষয়ে দু`জনের কথা হয়েছে। পাশাপাশি, একাধিক বাম নেতাদের সঙ্গেও মনমোহন সিং এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলে পিএমও সূত্রে খবর।
অন্যদিকে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়, তখন রাষ্ট্রপতি পদে দু`জনের কথা বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এঁদের মধ্যে একজন প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং অন্যজন হামিদ আনসারি। কিন্তু প্রার্থী হয়েছেন প্রণব মুখার্জি। তাই হামিদ আনসারিকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। যদিও ইউপিএ জোটের আর এক সমর্থনকারী দল সমাজবাদী পার্টি আদৌ হামিদ আনসারিকে সমর্থন করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, সমাজবাদী সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদব ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির মতোই তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদেও একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে চান।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইউপিএ প্রার্থী প্রতিভা পাতিলকে সমর্থন করলেও একই যুক্তিতে উপরাষ্ট্রপতি ভোটে হামিদ আনসারির বিরুদ্ধে নিজের দলের নেতা রশিদ মাশুদকে দাঁড় করিয়েছিলেন মুলায়ম। তবে মুলায়মের দল যে অবস্থানই নিক, পরিসংখ্যান বলছে, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হলে সেখানেও ইউপিএ সমর্থিত প্রার্থীর জয় প্রায় নিশ্চিত।
মনোনীত সদস্য-সহ লোকসভা ও রাজ্যসভার সব নির্বাচিত সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয় উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচকমণ্ডলী। উপরাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার জন্য কোনও প্রার্থীকে মোট বৈধ ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের জন্য ৭৮৮ আসনের সংসদে ম্যাজিক সংখ্যা ৩৯৫। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে তৃণমূলকে ছাড়াই ইউপিএর ঘরে ৪৪৯ জন সাংসদের ভোট প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে, ২৭৪ জন সংসদের ভোট পেতে পারে এনডিএ শিবির। তৃণমূল-সহ ৬১ জন সাংসদের ভোট অনিশ্চিত। ফলে, ভোটাভুটি হলে ইউপিএ প্রার্থীর জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
সংসদের দুই কক্ষের আসন-বিন্যাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, লোকসভা ও রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা যথাক্রমে ২০৭ ও ৭১। দুই কক্ষে সমাজবাদী পার্টির আসন সংখ্যা যথাক্রমে ২১ ও ৯। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ সংখ্যা যথাক্রমে ২১ ও ১৫। সংসদের নিম্নকক্ষে ডিএমকের ১৮ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। উচ্চকক্ষে রয়েছেন ৭ জন। দুই কক্ষে সিপিআইএমের সাংসদ সংখ্যা যথাক্রমে ১৬ ও ১১। ইউপিএর সহযোগী অন্যান্য দলগুলির লোকসভায় সম্মিলিত প্রতিনিধির সংখ্যা ৩৬। রাজ্যসভায় প্রতিনিধির সংখ্যা ১৭।
অন্যদিকে, লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা যথাক্রমে ১১৪ ও ৪৯। দুই কক্ষে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর আসন সংখ্যা যথাক্রমে ২০ ও ৯। লোকসভা ও রাজ্যসভায় শিবসেনার সাংসদ সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৪। লোকসভায় বিজেডির ১৪ জন সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভায় রয়েছেন ৭ জন প্রতিনিধি। এনডিএর সহযোগী অন্যান্য দলগুলির লোকসভায় সম্মিলিত প্রতিনিধির সংখ্যা ২৯। রাজ্যসভায় প্রতিনিধির সংখ্যা ১৭।
তবে রাষ্ট্রপতি ভোটে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানো জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং শিবসেনা শেষ পর্যন্ত হামিদ আনসারির উত্তরসূরি নির্বাচনের সময় কোন প্রার্থীর পাশে দাঁড়াবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। একই ভাবে অনিশ্চয়তা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই, আরএসপি, ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা-সহ নির্দল ও মনোনীত সদস্যদের মোট ৬১ ভোট কোন দিকে যাবে তা নিয়েও।