চিন-পাকিস্তান করিডোর নিয়ে ভারতের আপত্তি, দিল্লির সঙ্গে আলোচনা চায় বেইজিং
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘চিন-পাকিস্তান আর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে বেজিং বহুবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ওই করিডোর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘাত তৈরি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডোকা লা-র পর এবার চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নিয়েও ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চায় চিন। সম্প্রতি চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাতকারে ভারতের রাষ্ট্রদূত গৌতম বামবওয়ালে বলেন, চিন-পাকিস্তান নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা চেপে রাখা উচিত নয়। এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হু চুনউইং বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চায় চিন।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘চিন-পাকিস্তান আর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে বেজিং বহুবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ওই করিডোর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘাত তৈরি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। দুই দেশের স্বার্থের জন্যই এই উদ্যোগ নিতে হবে। তৃতীয় কোনও দেশের ক্ষতি করার জন্য ওই করিডোর তৈরি করা হয়নি। শুধুমাত্র ব্যবসার জন্য এটা তৈরি করা হচ্ছে। আশাকরি ভারতও এভাবেই ভাববে।’
আরও পড়ুন-২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেট আর পাঁচটা বাজেটের তুলনায় আলাদা, কিন্তু কেন?
উল্লেখ্য, সিপেক প্রকল্পের অংশ হিসাবে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পাকিস্তানের বালুচিস্তানের গদর বন্দর পর্যন্ত একটি হাইওয়ে তৈরি করছে। এখানে খরচ হচ্ছে ৫০ বিলিয়ন ডলার। ওই রাস্তাটি গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। এখানেই আপত্তি ভারতের। এতে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগেই সিকিমের ডোকা লা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত থেমেছে। টানা ৭৩ দিন ধরে অচলাবস্থা চলার পর ওই অংশ থেকে সরে যায় চিনা সেনা। ভারত-চিন সীমান্তের ওই অংশটিকে চিন নিজেদের বলে দাবি করে আসছিল এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই রাস্তা তৈরি করছিল। এনিয়ে প্রবল আপত্তি তোলে ভারত। আপাতত সেই সমস্যা মিটেছে।