Delhi Butcher: মোট ১৮ খুন, লাশ টুকরো করে ছড়িয়ে দিত তিহাড় জেলের আসপাশে, অবশেষে পাকড়াও 'দিল্লির কসাই'
Delhi Butcher: একের পর এক খুন করে লাশের টুকরো ছড়িয়ে দিত তিহাড়ে জেলের আসেপাশে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মোট ১৮ জনকে খুনের মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খুনের পর মৃতদেহ টুকরো করে সে ছড়িয়ে দিত তিহাড় জেলের আসেপাশে। সঙ্গে থাকত একটা নোট-'পারলে ধরে দেখাও'। দিল্লির আতঙ্ক সেই 'দিল্লির কসাই'-কে শেষপর্যন্ত পাকড়াও করল দিল্লি পুলিস। টানা এক বছরের চেষ্টায় সফল হল পুলিস। ২০২৩ সালে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর সে আর জেলে ফেরেনি।
আরও পড়ুন-তরুণ ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু! এসএসকেএমের সামনে বিক্ষোভ পরিবারের...
২০০৬-২০০৭ সালে দিল্লিকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল চন্দ্রকান্ত ঝা(৫৭) নামে বিহারের ওই বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার পুরনো দিল্লি স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত কমিশনার সঞ্জয় কুমার সেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ২০২৩ সালে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর সে আর জেলে ফেরেনি। শুক্রবার পুরনো দিল্লি স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৬ মাস ধরে ঝা-র পরিচিত, আত্মীয় ও পরিবারের লোকজনের উপরে নজর রাখছিল পুলিস। তাকে খুঁজে বের করতে দিল্লি, হরিয়ানা, বিহার ও উত্তর প্রদেশে সে যেখানে কাজ করেছে সেখানে খোঁজকরে পুলিস।
তিনটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় চন্দ্রশেখর ঝা। ওই তিনটি মামলার মধ্যে ২টি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়। পরে ওই সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হয়। তাকে ধরার জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
সঞ্জয় সেন আরও বলেন, কাউকে খুন করতে গেলে ঝা প্রথমে তার হাত-পা বেঁধে ফেলত। তারপর নানচাকু দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করত। তারপর সেই দেহ টুকরো করে কেটে ফেলত। তার সেই টুকরো দেহ ক্যারি ব্যাগে ভরে তিহাড় জেলের আসপাশে ফেলে আসত।
চন্দ্রকান্তের খুন প্রথম নজরে আসে ১৯৯৮ সালে। সেবার ঔরঙ্গজেব নামে একজনকে খুন করে। তারপর দেহ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয়। তার পর থেকে একের পর এক খুন করতে থাকে। মোট ১৮ খুনের অভিযোগ রয়েছে তার নামে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)