Centre's Big Covid Meet: ফের ফিরছে কোভিডের কড়াকড়ি, আতঙ্কে দেশ! দোলাচলে সরকার...
Centre's Big Covid Meet: পাশের দেশেই হু হু করে বাড়ছে করোনা। বাড়ছে মৃত্যু। ফলে একটু শঙ্কিতই হয়ে পড়েছে ভারত। এই আবহে আজ, বুধবার তড়িঘড়ি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক বৈঠকও ডেকেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাশের দেশেই হু হু করে বাড়ছে করোনা। বাড়ছে মৃত্যু। ফলে একটু শঙ্কিতই হয়ে পড়েছে ভারত। এই আবহে আজ, বুধবার তড়িঘড়ি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক বৈঠকও ডেকেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বৈঠকে উপস্থিত সকলের মুখেই মাস্ক দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Mehul Choksi: শীর্ষে চোকসি; ধার নিয়ে ফেরত দেননি এমন ৫০ শিল্পপতির ঋণের পরিমাণ কত, জানাল কেন্দ্র
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখনই কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি, তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, হয়তো ফের ফিরতে পারে মাস্ক। আসতে পারে আরও কড়া বিধিনিষেধ। আপাতত ঠিক করা হয়েছে, টেস্ট চালিয়ে যেতে হবে, পজিটিভ রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংও করা হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩,৪০৮জন। গত ২৪ ঘণ্টায় একটি মৃত্যু। চিনের 'জিরো কোভিড পলিসি' নিয়ে সে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। ফলে, সম্প্রতি চিন তা থেকে সরে এসেছে। এদিকে ভারতকে হয়তো নতুন করে করোনা বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Odisha Ambulance Driver: হাসপাতালে যাওয়ার পথে মদের দোকানে অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়ে দিলেন চালক, তারপর....
প্রসঙ্গত, চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। একদিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে যেমন চাপে পড়েছে চিনের হাসপাতালগুলি, তেমনই মরদেহ সৎকার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সে দেশের অধিকাংশ শ্মশান। চিনের বেইজিং, চংকিং ও গুয়াংঝৌ শহরের শ্মশানগুলিতে মঙ্গলবার সারি সারি মরদেহ দেখা গিয়েছে। শ্মশানগুলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্য সময়ের চেয়ে তারা এখন অনেক ব্যস্ত। একটি শ্মশান কর্তৃপক্ষ এমনও জানিয়েছেন, তাঁদের মরদেহ রাখার জায়গাও ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। তবে এই সব মরদেহই করোনা রোগীদের কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ, করোনার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে কি না, এমন প্রশ্ন সরাসরি এড়িয়েই গিয়েছেন শ্মশানে কাজ করা লোকজন।
বেইজিংয়ে করোনায় মৃতদের সৎকারের জন্য ব্যবহৃত একটি শ্মশানের বাইরে অনেক গাড়ির সারি দেখা গিয়েছে। মরদেহবাহী এসব গাড়ির অনেকটিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। মরদেহ রাখার জন্য তাঁদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে জায়গা শেষ হয়ে আসছে। তবে এসব মৃত্যুর কারণ করোনা কি না, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে চিনের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন শ্মশানের কর্মীরা এ নিয়ে যা জানিয়েছেন, তার মর্মার্থ হল: এখন দিনে ৩০টির বেশি মরদেহ সৎকার করতে হচ্ছে তাঁদের। সংলগ্ন এলাকা থেকেও সৎকারের জন্য মরদেহ আসছে। শহরের আরেকটি শ্মশানের কর্মী জানিয়েছেন,গত বছরগুলির তুলনায় মরদেহ সৎকারের ক্ষেত্রে তাঁরা তিন থেকে চার গুণ বেশি ব্যস্ত। দিনে এখন ৪০টির বেশি মরদেহ সৎকার করতে হচ্ছে তাঁদের।