মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন অধীর, দীপা, ডালু
রাজ্য থেকে মন্ত্রী হলেন আবু হাসেম খান চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি ও অধীররঞ্জন চৌধুরী। গতকালই প্রধানমন্ত্রী ফোন করে দিল্লিতে ডেকে পাঠিযেছিলেন তাঁদের। আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সাত জন পূর্ণমন্ত্রী সহ মোট বাইশ জনের সঙ্গে শপথ নিলেন পশ্চিমবঙ্গের তিন সাংসদ।
রাজ্য থেকে মন্ত্রী হলেন হচ্ছেন আবু হাসেম খান চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি ও অধীররঞ্জন চৌধুরী। গতকালই প্রধানমন্ত্রী ফোন করে দিল্লিতে ডেকে পাঠিযেছিলেন তাঁদের। আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সাত জন পূর্ণমন্ত্রী সহ মোট বাইশ জনের সঙ্গে শপথ নিলেন পশ্চিমবঙ্গের তিন সাংসদ। নগোরন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন রায়গঞ্জের সাংসদ স্বঘোষিত মমতা বিরোধী দীপা দাসমুন্সি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন আবু হাসেম খান চৌধুরী। বহরমপুরের ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন। অন্য দিকে কংগ্রেসের এই তিন নেতার মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণকে স্বাভাবিক ভাবেই সোজা চোখে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সৌগত রায় মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রকৃতপক্ষে কোন ক্ষমতাই থাকে না। তৃণমূল কংগ্রেসকে উতক্ত্য করার জন্যই এরাজ্য থেকে ৩ জনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
বহু প্রতীক্ষিত ও এযাবৎকালের মন্ত্রিসভার বৃহত্তম বদল ঘটে গেল। নির্ঘণ্ট মেনে রবিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ নতুন মন্ত্রীরা একে একে শপথ নিলেন। মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর কাছে ফোন এসেছিল আগেই। তাঁর মন্ত্রী হওয়ার একরকম নিশ্চিত ছিল। পূর্ণমন্ত্রী হওযার জোরালো সম্ভাবনা থাকলেও রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হল তাঁকে। তাঁর সঙ্গেই রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী ও দীপা দাসমুন্সিও। সেই তালিকায় ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নামও। রাহুল গান্ধীর তরুণ ব্রিগেডের সদস্য ও সুজাপুরের সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের নামও উঠে এসেছিল জল্পনায়। এস এম কৃষ্ণার জায়গায় বিদেশমন্ত্রী হিসাবে এলেন সলমন খুরশিদ। রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন পবন বনশল। মানব সম্পদ উন্নয়নের দায়িত্বে এলেন পল্লম রাজু। ওই দফতরেরই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন শশী থারুর। সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী হলেন চন্দ্রেশ কুমারী। বীরাপ্পা মইলি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল ব্রিগেডের চেনা মুখ জ্যোতিরাদিত্য় রাও সিন্ধিয়া। অন্য দিকে আবাসন মন্ত্রী হলেন অজয় মাকেন। সংখ্যালঘু ও আইন মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে যথাক্রমে কে রহমান এবং অশ্বিনী কুমার নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জীবী পর্যটন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রি হলেন।
এবারের রদবদলে রাজনৈতিক মহলে সর্বাধিক আলোচিত ছিল রাহুলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা। প্রথমটায় মনে করা হচ্ছিল, এখনই কোনও বড় মন্ত্রকে কোপ বসাবে না কংগ্রেস হাইকমান্ড। কিন্তু কাল থেকে শুরু হওয়া ইস্তফার ধুমে একে একে এস এম কৃষ্ণা, অম্বিকা সোনির মতো প্রথম সারির মন্ত্রীরা সরে আসায় নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দলের তরফে এই মহীরুহ পতনকে তরুণ প্রজন্মের সুযোগ করে দেওয়ার প্রথম ধাপ বলে ব্যখ্যা করা হয়েছিল। যার ফলে সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধী, সচিন পাইলট কিংবা মালদার গনিখান পরিবারের কনিষ্ঠা মৌসম বেনজিরের মতো তরুণ তুর্কীদের নাম বিবেচনায় উঠে আসতে শুরু করেছিল। তবে মনে করা হচ্ছে দলে এবার গুরুদায়িত্ব পেতে চলেছেন সোনিয়া পুত্র।