‘রঘুবংশের উত্তরসূরি আমরা, আদালত চাইলে প্রমাণও দিতে পারি’ দাবি বিজেপি সাংসদের
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার প্রতিদিন শুনানি করছে। বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্ট জানাতে চেয়েছিল, অযোধ্যায় কি এখনও রঘুবংশের উত্তরসূরি বসবাস করছে? এ প্রশ্নে কার্যত নীরব থেকেছেন রাম লালা বিরাজমানের আইনজীবী কে পরাসরণ। তবে, বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারির দাবি, তাঁর পরিবার রামের পুত্র কুশের বংশধর। শুধুই তাঁর দাবি নয়, যথাযোগ্য প্রমাণও দিতে পারবেন বলে জানান জয়পুরের রাজপরিবারের সদস্য দিয়া কুমারি।
রাজস্থানের রাজসমান্দের বিজেপি সাংসদ দিয়া বলেন, “আদালত জানতে চেয়েছে রঘুবংশের উত্তরসূরি এখনও আছে কি না! রামের উত্তরসূরি সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে। আমাদের পরিবারও তাঁর পুত্র কুশের বংশধর।” এ বিষয়ে বলতে গিয়ে দিয়া আরও দাবি করেন, তাঁদের কাছে নথি, বংশক্রম তালিকা রয়েছে। প্রয়োজনে আদালতের কাছে পেশও করতে পারেন বলে জানান বিজেপি সাংসদ। তবে, অযোধ্যা মামলায় সরাসরি যুক্ত হবেন না বলে জানান দিয়া কুমারি।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হচ্ছে ইদ! রয়েছে কড়া নজরদারিও
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার প্রতিদিন শুনানি করছে। বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এ সময় রাম লালা বিরাজমানের আইনজীবী কে পরাসরণকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে প্রশ্ন করেন, “আমরা অবাক হচ্ছি, এখনও কি রঘুবংশের উত্তরসূরি অযোধ্যা জীবিত রয়েছেন।” প্রধান বিচারপতির উত্সুক প্রশ্নের জবাব সেভাবে দিতে পারেননি পারসরণ। শুধু তিনি জানিয়েছেন, “আমার কাছে তেমন তথ্য নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জানাবো।”
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি রায়ে অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমিকে সমান ৩ ভাগে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহি আখড়া এবং রাম লালার মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই রায়ের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১৪ আবেদনকারী। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার রফাসূত্র পেতে একটি মধ্যস্থতা প্যানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফএমআই কলিফুল্লার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ওই প্যানেল মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হয়। এরপরই ওই মামলার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্ট নিজের হাতে নিয়ে জানায়, এবার প্রতি দিন শুনানি চলবে অযোধ্যা মামলার।