৩০ বছরের চেষ্টায় একার হাতে কেটেছেন খাল! সেই লোঙ্গিকে উপহার দেবেন আনন্দ মাহিন্দ্রা

৩০ বছর সময় লাগল ঠিকই! তবে বিহারের গোয়ার লোঙ্গি ভূঁইয়া একার হাতে খাল কেটে ফেলেছেন। 

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Sep 19, 2020, 06:27 PM IST
৩০ বছরের চেষ্টায় একার হাতে কেটেছেন খাল! সেই লোঙ্গিকে উপহার দেবেন আনন্দ মাহিন্দ্রা

নিজস্ব প্রতিবেদন- এক হাতে কোদাল, আরেক হাতে ঝুড়ি নিয়ে তিনি একাই বেরিয়ে পড়েছিলেন বাড়ি থেকে। এভাবেই রোজ সকালে বেরোতেন। বাড়ি ফিরতেন সূর্য ডোবার পর। ৩০ বছর ধরে তিনি একই কাজ করে গিয়েছেন। প্রথমদিকে লোকে তাঁকে পাগল ভাবত। এমনকী বাড়ির লোকজনও তাঁর এই কাজে সমর্থন জোগায়নি। কারণ তিনি যেটা করতেন সেটা করে টাকা পয়সা রোজগার করা যায় না। আসলে একার হাতে যে আস্ত একটা খাল কেটে ফেলা যায় সেটাই এই সমাজের অনেকে বিশ্বাস করতে পারেননি। ৩০ বছর সময় লাগল ঠিকই! তবে বিহারের গোয়ার লোঙ্গি ভূঁইয়া একার হাতে খাল কেটে ফেলেছেন। 

গ্রামে জলের অভাব ছিল দীর্ঘদিন ধরে। আর তাই হাজার পরিশ্রম করলেও ফসল ভাল ফলত না। এই সমস্যায় দীর্ঘদিন জেরবার ছিলেন গ্রামের মানুষরা। প্রশাসনিক কর্তাদের একাধিকবার সমস্যার কথা জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। তাই সরকার বা ঈশ্বরের আশায় লোঙ্গি বসে থাকেননি। তিনি একাই রোজ একটু একটু করে মাটি খুঁড়ে পাঁচ কিমি লম্বা একটি খাল কেটে ফেলে ছিলেন। সেই খাল দিয়ে নিকটবর্তী নদী থেকে জল আসে। গ্রামের চাষের জমিতে কাজে লাগে। একার হাতে পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন দশরথ মাঝি। তাঁর সেই কীর্তি নিয়ে বলিউডের সিনেমা হয়েছে। দশরথ মাঝির মতোই একই কাণ্ড করলেন এবার লোঙ্গি।

আরও পড়ুন-  ইলিশের পাল্টা উপহার! বাংলাদেশিদের পাতে স্বাদ ফেরাতে ২৫,০০০ টন পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে ভারত

টুইটারের এক ইউজার মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রাকে লোঙ্গির কথা জানান। সেই ইউজার তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি লোঙ্গিকে একটা ট্রাক্টর উপহার হিসেবে দিতে পারবেন! আনন্দ মাহিন্দ্রা সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন, লোঙ্গিকে ট্রাক্টর উপহার দেওয়াটা তার এবং তাদের সংস্থার কাছে অত্যন্ত সম্মানের ব্যাপার। ৩০ বছর ধরে একার চেষ্টায় লোঙ্গি যে খাল কেটেছেন সেটার গরিমা তাজমহলের থেকে কম নয় বলেও জানান তিনি। আর তাই তিনি অবিলম্বে লোঙ্গির কাছে তারই সংস্থার একটি ট্রাক্টর পৌঁছে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কীভাবে সেই ট্রাক্টর ৭২ বছর বয়সী লোঙ্গির কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেটাও সেই ইউজার-এর কাছে জানতে চেয়েছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।

.