নির্বাচনের আগে ফের বিপাকে আপ, ২৫ জায়গায় তল্লাশি ইডি-র
আম আদমি পার্টি (এএপি), যদিও বলেছে যে তাদের এই নীতির লক্ষ্য ছিল দুর্নীতি দমন করা। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। দিল্লি আবগারি নীতি, গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে বাস্তবায়িত হয়েছিল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার এই বছরের জুলাই মাসে তা বাতিল করে কারণ এই নিটির বাস্তবায়নের বিষয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শুক্রবার দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির অভিযোগে দিল্লির প্রায় ২৫টি জায়গায় অভিযান চালায়। তদন্ত সংস্থা গত সপ্তাহে দিল্লি-এনসিআর, পঞ্জাব এবং হায়দ্রাবাদের প্রায় ৩৫টি জায়গায় অভিযান চালানোর পরে ফের দিল্লিতে চালানো হল অভিযান। এখনও পর্যন্ত, ইডি এই মামলায় ১২০টিরও বেশি অভিযান চালিয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় গত মাসে মদ ব্যবসায়ী এবং মদ উত্পাদনকারী সংস্থা ইন্দোস্পিরিট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমীর মাহান্দ্রুকেও গ্রেফতার করেছে।
দিল্লির এলজি ভি কে সাক্সেনা দিল্লির আবগারি নীতি ২০২১-২২ বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর তদন্তের সুপারিশ করার পরে এই এই আবগারি নীতিটি স্ক্যানারে আসে। এই ঘটনায় তিনি ১১ জন আবগারি কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করেন।
আবগারি নীতিতে অর্থ পাচারের মামলাটি একটি এফআইআর থেকে শুরু হয়েছিল। সেখানে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং দিল্লি সরকারের কিছু আমলাকে অভিযুক্ত করা হয়। এই পলিসি মদের কার্টেলকে সাহায্য করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
দিল্লি আবগারি নীতি, গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে বাস্তবায়িত হয়েছিল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার এই বছরের জুলাই মাসে তা বাতিল করে কারণ এই নিটির বাস্তবায়নের বিষয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কবে নির্বাচন জানা যাবে আজ, বিজেপি-কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ আপের
পাশাপাশি, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এই নীতিতে বিশাল দুর্নীতির অভিযোগ করেছে। এই নীতিতে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খুচরা বিক্রেতাদের হাতে বড় ছাড় দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আম আদমি পার্টি (এএপি), যদিও বলেছে যে তাদের এই নীতির লক্ষ্য ছিল দুর্নীতি দমন করা। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।