রাস্তা আটকে টোন-টিটকিরি দিত অভিযুক্তরা! হাথরসে নির্যাতিতার মায়ের চাঞ্চল্যকর দাবি
তাঁদের মেয়ে একটা সময় বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় পেতেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে হাথরাস কাণ্ডে। এর আগে বিজেপির এক প্রাক্তন বিধায়ক দাবি করেছিলেন, নির্যাতিতার মা ও ভাই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে। যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। চার অভিযুক্তের তরফে বলা হয়েছিল, হাথরসের সাংসদ রাজবীর সিং দিলের ও তাঁর মেয়ে মঞ্জু তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। আর এবার নির্যাতিতার মা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন। তাঁর দাবি, মেয়েকে গত কয়েক মাস ধরে রাস্তায় দেখা মাত্রই উত্ত্যক্ত করত অভিযুক্তরা। যার জেরে তাঁদের মেয়ে একটা সময় বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় পেতেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ও লব কুশ তাঁর মেয়েকে রাস্তায় বেরোলেই ফলো করত। তারপর পথ আটকে নির্যাতিতাকে কটুক্তি করত। এমনকী রাস্তায় সবার সামনে মেয়েকে নিয়ে হাসাহাসি করত তারা। দুই হাত ছড়িয়ে নির্যাতিতার পথ আটক দাঁড়াত তাঁরা। গত কয়েক মাস ধরেই চলছে এমন ঘটনা। নির্যাতিতা বাড়িতে এসে মা, ভাই, বৌদিদের এই ঘটনার কথা জানান। তারপর থেকে প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে নির্যাতিতা তাঁর বউদিকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। একদিন তাঁর বৌদি থাকা সত্ত্বেও সন্দীপ ও লব কুশ নির্যাতিতাকে ফলো করতে শুরু করে। তারপর তাঁর রাস্তা আটকে টোন টিটকিরি করে। সেই সময় নির্যাতিতার বউদি তাদেরকে ধমক দেয়। দুই অভিযুক্তকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখাযন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। এরপরেও ১৯ বছর বয়সী যুবতীকে রাস্তায় দেখলেই টোন টিটকিরি করতে থাকে দুই অভিযুক্ত।
অভিযুক্তদের বাড়ির তরফে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে এসবই তাদের ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো চক্রান্ত। চার অভিযুক্তের মধ্যে তিনজন বিবাহিত। আর একজনের বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন পরিবারের লোকজন। চার অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনই আবার সন্তানের বাবাও।