করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেও পরিষেবা অটুট রেখে ২ কোটি পেরল বন্ধন ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা
মাত্র পাঁচ বছরেই গোটা দেশে ৪,৫৫৯টি ব্যাঙ্কিং আউটলেট চালু করেছে বন্ধন ব্যাঙ্ক এবং এগুলির মাধ্যমে ২.০৩ কোটি গ্রাহককে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২০-২১ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যবসার ফলাফল আজ ঘোষণা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসার আয়তন ২৪.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১,৩৪,৯৪১ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কিং অপারেশন শুরু করেছিল বন্ধন। এ বছর অগাস্ট মাসে ব্যাঙ্কের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। মাত্র পাঁচ বছরেই গোটা দেশে ৪,৫৫৯টি ব্যাঙ্কিং আউটলেট চালু করেছে বন্ধন ব্যাঙ্ক এবং এগুলির মাধ্যমে ২.০৩ কোটি গ্রাহককে পরিষেবা দিচ্ছে। বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট কর্মীসংখ্যা ৪১ হাজার ৫৬৩।
গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানাত বেড়েছে ৩৫.৩০ শতাংশ। ব্যাঙ্কের মোট আমানতের বহর এখন ৬০ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট(কাসা) মিলিয়ে আমানত ৪৭.৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের সামগ্রিক জমা খাতার মধ্যে কাসা-র অনুপাত এখন ৩৭.০৮ শতাংশ।
বৃদ্ধি হয়েছে ঋণের খাতাতেও। গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের বহর ১৭.৬৮ শতাংশ বেড়েছে। মোট ঋণ তথা অগ্রিমের আয়তন এখন ৭৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের এনপিএ তথা অলাভজনক সম্পত্তি এখন ০.৪৮ শতাংশ।
ব্যাঙ্কের ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) তথা মূলধনের পর্যাপ্ততার অনুপাত ব্যাঙ্কের স্থায়িত্বকে বোঝায়। মুনাফা সহ বন্ধন ব্যাঙ্কের সিএআর রেশিও এখন ২৭.২৯ শতাংশ, যা কিনা গ্রহণযোগ্য অনুপাতের (১১%) তুলনায় অনেক বেশি। ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা যা গত ত্রৈমাসিকের নিট মুনাফার তুলনায় ৬.৩৮ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: দেশের ৫ লক্ষ দরিদ্রদের জন্য ৫০ কোটি টাকার দান বন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা ও দুই অছি পরিষদের
এই ফলাফল প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের পুরো সময়টা জুড়ে দেশে লকডাউন চলেছে। তবে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সমস্ত রকম নিয়ম নির্দেশ মেনে আমাদের ব্যাঙ্ক শাখাগুলি কাজ চালিয়ে গিয়েছে। এই কঠিন সময়েও আমরা আমাদের গ্রাহকদের নিরন্তর পরিষেবা সুনিশ্চিত করেছি। প্রথম ত্রৈমাসিকে তারই ফলাফল মিলেছে।”