Mamata Banerjee: সেটিং করতে দিল্লি গিয়েছি! আরে আমার সঙ্গে সেটিংয়ের জন্য সবাই বসে থাকে: মমতা
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ববি এখন মেয়র হয়েছে। বিকাশবাবুকে জিজ্ঞেস করুন। উনি যখন মেয়র ছিলেন তখন জল হলে একদিন, দুদিন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে থাকতো। লেবু কচলাতে কচলাতে কিন্তু তেতো হয়ে যায়

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোরুপাচার থেকে কয়লা, সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে রাজনীতির ভাষা, নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আজ বিরোধীদের কড়া ভাষায় নিশান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনকি তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নিয়েও সরব হলেন মমতা। বলেন, আমপার পরিবার অনেক বড়। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমার যদি কোনও বেআইনি সম্পত্তি থাকে তাহলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। আমাকে জিজ্ঞাসা করার কোনও প্রয়োজন নেই। বুধবার ওই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজসেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। তা নইলে এই ধরনের নোংরা রাজনীতি দেখলে অনেক আগেই রাজনীতি থেকে বিদেয় নিতাম। কুত্সা, অসত্য, অকথ্য ভাষায় কথা বলা একদম পছন্দ করি না। মানুষকে নূন্যনত সম্মান না দেওয়া-এসব চলছে। আরও একটা জিনিস শুরু হয়েছে সেটা হল ব্ল্যাকমেলিং পলিটিক্স। বলছে, এত টাকা দাও নইলে তোমার বিরুদ্ধে 'পোল খুলব'। এসব ভাষা আমি জানি না।
আরও পড়ুন-রাজ্যে পুলিস কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় ঘোষণা মমতার
কয়লা পাচারের অভিযোগ নিয়ে মমতা বলেন, বল হচ্ছে কয়লার টাকা নাকি কালীঘাটে যাচ্ছে। কার কাছে যাচ্ছে? মা কালীর কাছে যাচ্ছে? নামটা বলুন না একটু। কয়লা কার আন্ডারে? হোম মিনিস্টারের আন্ডারে। গোরু কার আন্ডারে? হোম মিনিস্টারের আন্ডারে। তাহলে দায়িত্ব কাদের? আমার যতটুক হেল্প করার তা করতে পারি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি হয়ে গোরু আসছে। আমি তো একসময় সব বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কোভিডের সময় বলা হয়েছিল কোনও গাড়ি আটকানো যাবে না। গোরু-কয়লা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দায়িত্ব। সংবাদমাধ্যমে যেভাবে কোনও তথ্য ছাড়াই যা খুশি বলে দেওয়া হচ্ছে তাতে আমি অবাক। আপনারা অসত্য বলেন, অকথ্য বলেন। কয়েকটা লোককে টাকা দিয়ে অনেক কিছু বলানো হয়। বলা হয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এটা কী! তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা কারও খাইও না পরিও না।
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ববি এখন মেয়র হয়েছে। বিকাশবাবুকে জিজ্ঞেস করুন। উনি যখন মেয়র ছিলেন তখন জল হলে একদিন, দুদিন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে থাকতো। লেবু কচলাতে কচলাতে কিন্তু তেতো হয়ে যায়। আপনি আমার পরিবারকে নোটিস করলে আমি আইনি লড়াই করব। যদিও এখন আইনি লড়াই করাটাও কঠিন। সেখানেও হস্তক্ষেপ শুরু হয়েছে। যারা দেশে বেচে দিচ্ছে তাদের কাছে কৈফিয়ত চাইতে পারেন না! গ্যাসের এত দাম বাড়ালেন তার টাকা কোথায়! আমাদের পাওনা টাকা দিচ্ছে না। সেই টাকা চাইতে গেলে বিজেপির যেসব নেতা ধিতাং ধিতাং করে নাচে তারা বলে বেড়ায় আমি সেটিং করতে গিয়েছি। আমি শুধু বলি, আমাকে সেটিং করার জন্য সবাই বসে থাকে। আমি সেটিং করি না। আমি একাজে ফিট-ই নই। আমি সেটিং করতে পারিনি বলেই তো সিপিএম আমলে অনেক কংগ্রেস নেতা মাথা নত করে দিলেও আমি পারিনি।
আপনারা তো আমাদের সম্পত্তির হিসেব চাইছেন। আমরা তো ভোটের সময় সম্পত্তির হিসেব দিই। আমরা তো ট্য়াক্স দিই। সাতবার এমপি ছিলাম। মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন পাই। মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা সহ অন্যান্য সব মিলিয়ে অনেক টাকা পাই। আমি তো সেসব টাকা নিইনি। তাহেল এত কুত্সা কেন! যান না অন্য পক্ষের কাছে গিয়ে খবর নিন।