ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে মনে পড়ছে, ১৪ জন কর্মী খুন, এর শেষ দেখে ছাড়ব: Nadda
মমতার (Mamata Banerjee) ইন্ধনেই বিজেপির উপরে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে হিংসার ঘটনায় শেষ দেখে ছেড়ে দেব। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিলেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। মমতার ইন্ধনেই তাঁদের কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নাড্ডার (JP Nadda) বক্তব্য, ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ লোক বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ১৪ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অথচ ৩৬ ঘণ্টা ধরে নীরব মমতা।
মমতার (Mamata Banerjee) মদতে বিজেপির উপরে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President)। বলেন,''এই ঘটনাগুলি দেখে দেশভাগের দিনগুলি মনে পড়ছে। মনে পড়ছে ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে-র কথা। নন্দীগ্রামে মমতা বলেছিলেন, খেলা হবে। ২ মে দুপুর থেকে শুরু হয়েছে খেলা হবে দিবস। রাজ্যে গণহত্যা চলছে। ৩৬ ঘণ্টা ধরে নীরব মমতা। এতে বোঝা যাচ্ছে, ওঁর মদত রয়েছে। রক্ত রঞ্জিত হাত নিয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তৃণমূলস্তরের কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। হামলার শিকার তাঁদের পরিবার। মহিলারা টার্গেট হচ্ছেন। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের প্রচারেও বলতাম বাংলায় মহিলারা অসুরক্ষিত। জনাদেশে সত্য বদলায় না। হামলা ও লুঠ চলছে।''
এই হামলার শেষ দেখে ছেড়ে ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নাড্ডা (Nadda)। তাঁর কথায়,''অসহিষ্ণুতার আদর্শকে নাস্তানাবুদ করব। সন্দেশখালি, গোসাবা, পূর্ব ক্যানিংয়ের গ্রামগুলি হামলার শিকার। পূর্ব ক্যানিংয়ে আমফানের পর এখন চলছে মমতাফান। গ্রাম ছাড়চ্ছে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। অসমে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। জনাদেশে মমতা জিতেছেন। তবে মানবতা হারছে। এখনও পর্যন্ত ১৪ জন মারা গিয়েছে। মৃত্যুমিছিল কোথায় থামবে জানি না! কর্মীদের পাশে রয়েছি। আমরা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন। বাঙালিরা যাতে অস্মিতা ও সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন, তা নিশ্চিত করব। এর শেষ দেখে ছাড়ব। কৌতূহল হচ্ছে, মানবাধিকার কর্মীদের মুখ তালাবন্ধ কেন? নির্বাচিত ঘটনাতেই মানবাধিকারের সওয়াল করেন তাঁরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একটাও নিস্তাব দেয়নি।''
বিধানসভা ভোটের প্রচারে 'বহিরাগত' বনাম বাঙালি তরজায় জড়িয়েছিল বিজেপি ও তৃণমূল। বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরে এ দিন জেপি নাড্ডা স্মরণ করিয়ে দেন,''এই সংস্কৃতি মমতার, বাংলার নয়। ওঁর ভাষাও বাংলার সঙ্গে খাপ খায় না। ভাবুন খালি আজ বেঁচে থাকলে কেমন লাগত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অরবিন্দ, সুভাষচন্দ্র বসুর! ''
আরও পড়ুন- শপথের পর 'নরেন্দ্র মোদীজি'-কে ধন্যবাদ জানিয়ে সৌজন্য রক্ষা Mamata-র